Chilli tea, Shantipur, শান্তিপুরে লঙ্কার চা বানিয়ে তাক লাগাচ্ছে বিশ্বজিৎ

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৭ জানুয়ারি: শীতকাল মানেই গরম চা’য়ে একটা চুমুক, শরীরে উষ্ণতার পরশ নিয়ে আসে। আর সেই চা যদি লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয় তবে কেমন হবে? আর এমন লঙ্কা সহ অন্যান্য ভেষজ দিয়ে চা বানিয়ে চমক দিলো শান্তিপুরের এক চা বিক্রেতা। বর্তমান সময়ে ঠান্ডা লাগা ও সর্দি লাগা মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। আর মানুষের সেই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে তৈরি এই লঙ্কা চা খেতে রীতিমতন ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সূত্রের খবর, শান্তিপুরের কেসি দাস রোডের গো- ভাগাড় মোড়ের এই চা বিক্রেতা সম্পূর্ণ নিজের ভাবনা চিন্তা থেকে এই নতুন ধরনের চা তৈরি করে বিক্রি করছেন। চা বিক্রেতার দাবি, এর ফলে মানুষের উপকার হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে চা বিক্রেতা বিশ্বজিৎ দাস জানান, “আমি অনেক জায়গায় চা খেয়েছি। কিন্তু ইউনিক কিছু দেখিনি। তাই প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম ইউনিক কিছু করব। কাঁচা লঙ্কা অবশ্যই ভালো জিনিস মানুষের জন্য। পাতি লেবু শরীরের ইমিউনিটির জন্য কাজ করে। এর সঙ্গে মেশানো হয় একটা সিক্রেট মসলা। যার ফলে এটা খেলে সর্দি-কাশি হাঁচি বদ হজম পুরোটা ক্লিয়ার না হলেও অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে যায়।”

দোকানের গ্রাহক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “আমি প্রতিদিন সকালবেলায় এই চা খাই। এই লঙ্কা চায়ের স্বাদই আলাদা। এই চা খাওয়ার আগে গলা যদি খুসখুস করে তাহলে খাওয়ার পরে সেটা আর থাকবে না। এছাড়া এখন যে ভাইরাস আসছে এই চা তারা খেলেও হয়তো অনেকটা শান্তি পাবে।”

গ্রাহক অভিজিৎ সরকার জানান, “আমি এখানে রোজ আসি। এই দোকানে রোজ লঙ্কা চা খেতে আসি। ভালো লাগে। সুদূর চীন থেকে যে ভাইরাস রোগটা আসছে এই চা খেলে আশা করি অনেকটাই রোগীর উপশম হবে।”

ওই দোকানেরই আরেক গ্রাহক হাসান খান জানান,
“আমি রোজ সকালে এখানে আসি। এই লঙ্কা চা নিয়মিত খাই। সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে এই চা খুব তৃপ্তিদায়ক। পুরোটা না হলেও এই চা অনেকটাই কাজ করে।”

বকুল মন্ডল বলেন, “আমরা বহুদূর থেকে এই লঙ্কা চা খেতে আসি। সর্দি-কাশি, জ্বর হলে এটা খাবার পর আমরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *