স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার জন্মদিনে শুরু হল দিবাঙ্গদের মিলন মেলা ও লোকসঙ্গীত উৎসব ২০২০

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২ মার্চ: প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী ডঃ সুশীল কুমার ধাড়ার জন্মদিন উপলক্ষে নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতির ব্যাবস্থাপনায় দিব্যাঙ্গদের মিলন মেলা ও লোকসঙ্গীতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ও প্রাক্তন বিধায়ক ব্রহ্মময় নন্দ মহাশয়, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্ত, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সাধনচন্দ্র প্রামানিক, বিশিষ্ট সমাজ সেবী সত্যরঞ্জন সাহু, তমলুক ঘাটাল সেন্টাল কোপারেটিভ চেয়ারম্যান গোপাল মাইতি, কর্মাধ্যক্ষ অসিত ব্যানার্জি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীগণ।

প্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা দেওয়া, প্রতিভার বিকাশ ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই মেলার আয়োজন বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সুযোগ সহ সরকারি সুযোগ সুবিধা বিষয়ে নানান তথ্য এই মেলা থেকে প্রতিবন্ধী মানুষজন পেয়ে থাকেন। কৃত্রিম পা, শ্রবণ যন্ত্র, ট্রাই সাইকেল, মশারী দেওয়া হয় মেলায়। প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী আজ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবন্ধী মানুষদের ক্রিকেট, সাঁতার, ভলিবল, রোড রেস সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এই মেলা উপলক্ষে।

জেলা শাসক পার্থ ঘোষ তার বক্তবে বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতিবন্ধীদের চিহ্নিতকরণের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রসথেটিক এডস বিতরণ করে এই সংস্থা। আমরা বর্তমানে বিট্রিশ মুক্ত হলেও সংগ্রাম চলছে। সংগ্রাম প্রতিবন্ধী মানুষদের পাশে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, তাদের উন্নয়ন ঘটানো। এমন মহতী মেলায় আসতে পেরে তিনি খুব খুশি। ব্রহ্মময় নন্দ সহ অতিথিরা প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার স্মৃতিচারন করেন এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সুশীলবাবুর চিন্তা-ভাবনার কথা তুলে ধরেন। নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক যোগেশ সামন্ত মেলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠান অসহায় মানুষদের ও দিব্যাঙ্গজনদের জন্য কাজ করে চলেছে। এইসব মানুষদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখিয়ে তাদের সবরকম সহায়তা দানের মধ্য দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুশীল ধাড়ার দেওয়া দায়িত্ব পালন করে চলেছে প্রতিষ্ঠান। আজও এবং আগামীতে এই কাজ আরও পূর্ণতা পাবে এই আশা করছে।

মেলায় প্রতিবন্ধীদের নিজেদের হাতে তৈরী খাওয়ার যেমন ফুচকা, ঝাল মুড়ি, চা-কফি, চিপস্, ঘুগনি, পকোড়া, আচার স্টল থেকে বিক্রি করছে। তেমনি পাটের তৈরী শো-পিস, জাঙ্ক জুয়েলারী, মেয়েদের পোশাক, মাশরুম, বড়ি বিক্রির জন্য স্টলে নিয়ে বসেছে। এই মেলা চলবে ৭মার্চ পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *