আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৩১ আগস্ট: “আরজিকরের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই।“ প্রেসক্রিপশনে এমনই স্ট্যাম্প ব্যবহার করে আরজিকরের ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করলেন চিকিৎসক ও আরজিকরের প্রাক্তন ছাত্র দেবব্রত দাস। শুধু রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া প্রেসক্রিপশনেই নয়, সমাজ মাধ্যমেও একই দাবিতে তিনি আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। সমস্ত চিকিৎসকের এইভাবে আন্দোলন করা উচিত বলে মনে করেন দেবব্রতবাবু।
বীরভূমের রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন দেবব্রত দাস। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওষুধের দোকানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। আরজিকর কাণ্ডের পর তিনি জুনিয়ার- সিনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। একাধিক আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। এবার নিজের চেম্বার থেকেই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাই লালকালির স্ট্যাম্পে “আরজিকরের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই” লেখা প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। শুধু বাংলাতে নয়, ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস।“
দেবব্রত দাস বলেন, “আমি আরজিকরের প্রাক্তন ছাত্র। ওই কলেজের প্রতিটি গলি আমি চিনি, জানি। সেখানে এই ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে আমার প্রাক্তন কলেজে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসক সমাজ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। সিবিআই বার বার বলছে ঘটনার প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে। দায়ী করা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই সাধারণ মানুষের মতো আমি চিকিৎসক হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে আমার প্রেসক্রিপশনকে ব্যবহার করেছি। সেই প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের সারা ভারতে যে সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিতে ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে।”
ডাক্তারকে আমরা ভগবান মনে করি
কারণ ডাক্তারি পরে রোগীকে সুস্থ ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার
তাই মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।