স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১১ আগস্ট:
ভুয়ো ক্লাবের নামেও দেওয়া হয়েছে সরকারি টাকা। আর এই সরকারি টাকা পেয়েছে নদীয়ার দুটো ক্লাব। এই অভিযোগ তুলেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ক্লাবগুলোর খেলাধুলার উন্নতির জন্য টাকা দেন। কিন্তু সেই টাকা ভুয়ো ক্লাবও পেয়ে গেছে। এরকম ঘটনা ঘটেছে নদীয়ায়। কালীগঞ্জে যে ক্লাবের কোনও অস্তিত্ব নেই অথচ সেই ক্লাবের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর সেই ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। যদিও খাতায়-কলমে দেখা যাচ্ছে সেটা রেজিস্টার ক্লাব।
কালীগঞ্জ ব্লকের সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এর দাবি, কালীগঞ্জ ব্লকের রাধাকান্তপুর দক্ষিণপাড়া অগ্নিবীণা সংঘ ও রাধাকান্তপুর যুব সংঘ ক্লাব দুটোর অস্তিত্ব পানিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর গ্রামে নেই। অথচ অভিযোগ ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেপে খেপে এই ক্লাব দুটোর নামে একাউন্টে সরকারি টাকা ঢুকে যাচ্ছে। দুটি ক্লাবই পেয়েছে চার লক্ষ টাকা। এব্যাপারে তার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
গ্রামের সাধারণ মানুষও এই দুটি ক্লাবের নাম শোনেননি বলেও অভিযোগ কালিগঞ্জ ডিওয়াইএফআই এর। পাশাপাশি কালিগঞ্জ ডিওয়াইএফআইয়ের দাবি দুটি ক্লাবের সম্পাদক এবং সভাপতি তৃণমূলের নেতা।
নদীয়া জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগের সত্যাসত্য আমার জানা নেই। তবে সরকারের কাছে আমি বলব ঘটনার তদন্ত করে যেন দেখা হয়।
পানিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আউসান মন্ডল বলেন, ২০১৮ সাল থেকে উনি এই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু তিনি জানেন না এ ক্লাব দুটো সম্বন্ধে। তবে তিনি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এবং পাশাপাশি তিনি আরও জানান আগামীকাল তাকে ফোন করতে, এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাবেন।

