কৃষি বিলের সমর্থনে ভারতী ঘোষের সভায় জনজোয়ার

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ অক্টোবর: কেন্দ্রীয় কৃষিবিলের সমর্থনে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ে জনজোয়ারে ভাসলেন ভারতী ঘোষ। কৃষি বিলের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার যেভাবে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এদিনের সভায় তার তীব্র সমালোচনা করেন ভারতী ঘোষ। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজে, আমফানের ক্ষতিপূরণে, গৃহ নির্মাণে গরিবদের হকের টাকা কাটমানি হিসেবে ভোগ করছে তৃণমূল। এই কাটমানির বিরুদ্ধে এবং গরিব মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের কৃষি বিল পাস হয়েছে। রাজ্য সরকারের জন্মের পর থেকেই তৃণমূলের এই কাটমানির বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। ২০২১ সালে সুদে-আসলে এই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবে।

ভারতী ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় কৃষি বিল এই জন্যই আনা হয়েছে যাতে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল মুক্ত বাজারে বিক্রি করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থা সেই বাজার তৈরি করবে। এজন্য দেশের বেকারদের এক লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা কৃষি বিপণন বিলের আওতায় শস্য মজুতের জন্য হিমঘর তৈরি করবে। সেখানে কৃষকরা তাদের ফসল রাখতে পারবেন এবং বিক্রিও করতে পারবেন। এর ফলে কাটমানি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তৃণমূলের আজ এত চিল চিৎকার। কারণ তাদের কাটমানি বন্ধ হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে রাজনৈতিক আয়।

ভারতী ঘোষ বলেন, বিভিন্ন কৃষি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, হিমঘরের অভাবে ভারতবর্ষে ৯২ হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয় প্রতিবছর। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সমস্যা দেখা দেয়। এই অব্যবস্থা বন্ধ করতে এবং গরিব মানুষের সঠিক অন্নের সংস্থান করতে, তাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে কেন্দ্র সরকার এই কৃষি বিল তৈরি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *