পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ নভেম্বর: কালীপুজো শেষ। রবিবার ভাতৃদ্বিতীয়া। বাঙালির এই ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়ার ইতিহাস সুপ্রাচীন। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের ভিড়ে ভাইফোঁটা হল ভাই- বোনের সম্পর্কের বন্ধনে প্রজ্জ্বলিত এক নিবিড় ভালোবাসার অনির্বাণ শিখা। যা বারবার ফিরে আসে নতুন শুভেচ্ছায় আর মঙ্গল কামনায়। আজ মেদিনীপুর শহরের স্টেশন রোড এলাকায় শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে গণ-ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। দলমত এবং জাতপাতের ঊর্দ্ধে উঠে শহরের প্রায় পাঁচ শতাধিক টোটো চালক এবং হকার ভাইদের তৃণমূলের মহিলা সদস্যারা ভাইফোঁটা দেয়।
এই অনুষ্ঠানটি ২০০৮ সাল থেকে শুরু করেছিল তৎকালীন সিপিএমের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘরছাড়া মানুষদের ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য মহিলা নেত্রী মৌ রায়ের নেতৃত্বে মেদিনীপুর শহরের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যারা। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই বছরও ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা শহর মহিলা সভানেত্রী মৌ রায়, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব, কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা, রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যুৎ ঘোষ, আশীষ চক্রবর্তি, সরকারি আইনজীবী সুকুমার পড়িয়া সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।