আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৫ সেপ্টেম্বর: অবশেষে বন্দে ভারত ট্রেনের স্টপেজ পেল বীরভূমের রামপুরহাট।রবিবার বিকেলে রামপুরহাট স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ভাগলপুর -হাওড়া বন্দে ভারত ট্রেনটি। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমের ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর রামপুরহাট স্টেশনে সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের উদ্বোধন করেন স্টেশন ম্যানেজার হাদিউজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে। এছাড়া পূর্ব রেলের বেশ কিছু আধিকারিক এদিন রামপুরহাট স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত ট্রেন চালু হওয়ার সময় রামপুরহাট শহরের মানুষের দাবি ছিল স্টপেজের। কিন্তু সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় মানুষের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহে ছয়দিন চলবে এই ট্রেন। শুক্রবার বন্ধ থাকবে। হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে। রামপুরহাটে পৌঁছবে ১০টা ২৩ মিনিটে। আবার ভাগলপুর থেকে বিকেল ৩টে ২০ মিনিটে ছেড়ে রামপুরহাট ঢুকবে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে। এছাড়াও ট্রেনটি বোলপুর, দুমকা, ননিহাট, হাঁসডিহা, মান্দারহিল, বারাহাট স্টেশনে থামবে।
বন্দে ভারত ট্রেন পেয়ে খুশি রামপুরহাট মহকুমা যাত্রী সংঘ। সংঘের সদস্য অনিল বোথরা বলেন, “এই ট্রেনের ফলে রামপুরহাটের মানুষের বিকেলের দিকে হাওড়া পৌঁছোতে খুব সুবিধা হবে। আমরা এরকম একটা ট্রেন চেয়েছিলাম। সেই দাবি পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি। তবে হাওড়া – নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত কিংবা শতাব্দী একপ্রেসের মধ্যে একটা ট্রেনের স্টপেজ দিলে আরও ভালো হতো”।
অনুপ সাহা বলেন, “আমি রেলের কাছে রামপুরহাট – আমোদপুর- কাটোয়া এবং রামপুরহাট-অন্ডাল লাইনে নতুন ট্রেন দাবি করেছি। এছাড়া করোনা কালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলি পুনরায় চালানোর দাবি রেখেছি। ধীরে ধীরে সেই দাবিও পূরণ হবে।”