আমাদের ভারত, ২১ অক্টোবর: পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল, যা সোমবার অর্থাৎ আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সম্ভবত এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং শক্তি বাড়িয়ে বুধবার রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ের। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ডানা।এরফলে দীপাবলীর আগে লন্ডভন্ড হতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উপকূলবর্তী জেলা গুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের প্রভাব উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে পড়বে এমন পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই মতো বুধবার বৃষ্টি শুরুর কথাও জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ রবিবার থেকেই মেঘলা রয়েছে। রবিবার ও সোমবার কোথাও সেভাবে বৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করবে। ২৪ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২৫ তারিখ ভোরের মধ্যে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি কোথাও আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়।
এই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। তবে সাগর ও পুরীর কাছে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এই সময় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বইবে প্রবল ঝড়ো হাওয়া।
সোমবার থেকেই আন্দামান সাগর উত্তাল হতে শুরু করেছে। মৎস্যজীবীদের তাই সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাংলা ও ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা এখন সমুদ্রে রয়েছে তাদের তড়িঘড়ি ফিরে আসার কথা বলেছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে।
উপকূলবর্তী এলাকায় থাকা কাঁচা বাড়ি, পুরনো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ নষ্ট হওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।