পুজোর আগেই রাজস্থান এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের বিশেষ সুযোগ নিয়ে এলো রেল কর্তৃপক্ষ

আমাদের ভারত, ১৬ জুলাই: পুজোর আগেই নতুন উদ্যোগে বৈষ্ণদেবী থেকে শুরু করে আজমীর শরীফ, অযোধ্যা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের বিশেষ সুযোগ নিয়ে এগিয়ে এলো রেল কর্তৃপক্ষ। তমলুকে সাংবাদিক সম্মেলন করে আই আর সি টি সি’র ইস্ট জনের পক্ষ থেকে ভারত গৌরব স্পেশাল এই টুরিস্ট ট্রেন চালু করার কথা জানানো হয়েছে।

মূলত, রেলওয়ে পর্যটনকে আরো কিভাবে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। এক্ষেত্রে স্পেশাল দুটি টুরিস্ট ট্রেন আসন্ন পুজোর মরশুমে চালু হচ্ছে। একটি উত্তর ভারত সঙ্গে মাতা বৈষ্ণদেবী দর্শন এবং অন্যটি রয়েল রাজ্যস্থান নামে চালু করা হচ্ছে। উত্তর ভারত সঙ্গে মাতা বৈষ্ণদেবী দর্শন কানোর জন্য ট্রেনটি ১১ই আগস্ট রাত থেকে ১১ দিনের জন্য ভ্রমণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে রয়েল রাজস্থান নামের স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটির যাত্রার তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২০ অক্টোবর রাত থেকে ১২দিনের জন্য। যেটি কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা হয়ে আজমির, উদয়পুর, চিতরগড়, আবু রোড, যোধপুর, জয়সলমীর, বিকানের, জয়পুর সহ বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র দর্শন করাবে।

বৈষ্ণদেবী সহ উত্তর ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্পেশাল এই টুরিস্ট ট্রেনটি ১১ই আগস্ট রাত দশটায় কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম, টাটানগর, পুরুলিয়া, রাঁচি হয়ে হরিদ্বার, ঋষিকেশ, মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দির, স্বর্ণ মন্দির, ওয়াগা সীমান্ত, তাজমহল, মথুরা, বৃন্দাবন এবং অযোধ্যা সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করবে। এভাবেই ভারতবর্ষের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা, যাবতীয় আহারাদি ও হোটেল খরচ সহ ভ্রমণের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের মাথাপিছু ট্রেনের বিভিন্ন ক্লাসের ক্ষেত্রে প্যাকেজ মূল্য ধার্য করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ট্রেনের ইকোনমি ক্লাস, স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস এবং কমফোর্ট ক্লাস হিসেবে প্যাকেজ মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এই প্যাকেজ এর মধ্যে ট্রেন ভাড়া, হোটেলের রাত্রিবাস, আহারাদি, টিফিন, দুর্ঘটনাজনিত ভ্রমণ, বিমা এবং বাসে করে অভিজ্ঞ গাইড সহ দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ সবই যুক্ত রয়েছে। তবে যেহেতু উত্তর ভারতের বৈষ্ণদেবীর মন্দিরের এই টুরটি তীর্থক্ষেত্র দর্শনের জন্য, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরামিষ আহারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাজস্থান ট্যুরের ক্ষেত্রে অবশ্য আমিষ খাওয়ারের বন্দোবস্ত রয়েছে।

আই আর সিটিসির চিফ সুপারভাইজার দীপঙ্কর মান্না এবং মনীশ কুমার বলেন, সকল ভ্রমণপিপাসু সাধারণ মানুষজন যাতে এই প্যাকেজ বুকিং করতে পারেন তার জন্য করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আমরা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সদর শহরগুলিতে জোরদার প্রচার শুরু করেছি। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চল শাখা অফিসের পক্ষ থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নাম্বার ৮৫৯৫৯০৪০৮২ চালু করা হয়েছে। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করা যাবে এই প্যাকেজ টুরগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *