বিজেপির ‘অভিনন্দন যাত্রা’য় বেসামাল তৃণমূল সুপ্রিমো, ফের মুখে ‘বাম্বু’র কথা

তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৭ জানুয়ারি: বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় বাংলার এক থেকে অন্যপ্রান্তে ক্রমশ আলগা হয়ে পড়ছে দলের শিকড়। তাতে যে তিনি চরম আতঙ্কিত, সোমবার তা স্পষ্ট হয়ে উঠল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে দলের ছাত্র-যুবদের বার্তা দিচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি আচমকাই বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ‘অভিনন্দন যাত্রা’র প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপির ‘অভিনন্দন যাত্রা’কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘কীসের অভিনন্দন যাত্রা? ওটা বাম্বু।’ এই ‘বাম্বু’ শব্দটা বলেই এদিন মঞ্চে নিজেকে সামলে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওটা আসলে বিসর্জন যাত্রা।’

তৎকালীন কার্যনির্বাহী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার হাত ধরে এরাজ্যে কলকাতা থেকে ‘অভিনন্দন যাত্রা’র সূচনা করেছিল বিজেপি। তার পর থেকে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জন্য অভিনন্দন জানাতে রাজ্যজুড়ে এই ‘অভিনন্দন যাত্রা’ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

তৃণমূল সুপ্রিমোর এই কটাক্ষের জবাব দিতে এদিন তাই দেরি করেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ মালদায় ‘অভিনন্দন যাত্রা’ উপলক্ষে বিশাল মিছিল করছে বিজেপি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেই মিছিল থেকেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘২১ সালেই প্রমাণ হয়ে যাবে, কার বিসর্জন হয়, কার বিসর্জন যাত্রা, মানুষ বুঝিয়ে দেবে।’

কথা বলতে গিয়ে ‘বাম্বু’ শব্দের প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমোর এই প্রীতি কিন্তু, নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি ‘বাম্বু’ শব্দ জনসভার মঞ্চে ব্যবহার করেছেন। জেলায় ভোটের প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাম্বু দিচ্ছ বাম্বু!’ শুধু ওই কথা বলাই নয়, কীভাবে সেই ‘বাম্বু’ দেওয়া হচ্ছে, হাতের ইশারায় তা বোঝানোরও চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিন্দুকদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ইশারা যাবতীয় শালীনতার সীমা ছাপিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তাতেও যে তৃণমূল সুপ্রিমোর ‘বাম্বুপ্রীতি’তে বিশেষ ঘাটতি ঘটেনি, এদিনের নেতাজি ইন্ডোর তা স্পষ্ট করে দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *