সতীপীঠের একপীঠ তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে মাকে কালী রূপেপুজো

আমাদের ভারত পূর্বমেদিনীপুর ১৫ নভেম্বর : কথিত আছে সতীর ৫১ পীঠের একটি পীঠ তমলুকের বর্গভীমা মন্দির। নিত্য পূজার পাশাপাশি বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ রূপে পূজিত হন এই দেবী বর্গভীমা। কালী পূজার দিনেও কালী রূপে তিথি অনুসারে বিশেষ ভাবে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা।

প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। মানত করেন মনস্কামনা পুরনের জন্য। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত সরকারি বিধি মেনেই ভক্তরা আসছেন পুজো দিতে, অঞ্জলি দিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী দূরত্ব মেনে সব কিছুর আয়োজন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। কালী পুজো উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় বর্গভীমা মন্দিরে।

বর্গভীমা মন্দির কমিটি সম্পাদক শিবাজী অধিকারী জানালেন, সতীপীঠ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন তমলুক শহরে কোনও শক্তি পুজো হত না। পরে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যুবকদের উৎসাহে শুরু হয় শক্তিপুজো। তমলুকে বেশ কয়েকটি কালীপুজো হয় বিরাট ধুমধামের সঙ্গে। তবে প্রত্যেকটি বারোয়ারি বা বাড়ির কালী পুজো শুরু হওয়ার আগে বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার একটা রীতি আছে দীর্ঘদিন থেকেই। মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার পরেই বাড়িতে বা ক্লাবগুলিতে পুজো শুরু হয়। সেই রীতি এখনো চলে আসছে। প্রত্যেকটি পুজো কমিটির থেকেই সুসজ্জিত শোভাযাত্রা করে এসে মায়ের পুজো দেওয়া হতো প্রত্যেক বছর। এবছর সেই শোভাযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে কোভিড এর কারনে। কেবলমাত্র প্রত্যেকটি পুজো কমিটির দু’একজন উদ্যোক্তাই পুজো দিতে এসেছিলেন কালী পুজো শুরুর আগে।

মায়ের মন্দিরের পুজারী সুরজিৎ ভট্টাচার্য জানালেন, বর্গভীমা মন্দিরে কালী পূজা উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, তিথি অনুসারে পুজো হয়েছে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত। পাঁঠা বলি দেওয়া হয়েছে। বহু ভক্ত এই পুজো দেখার জন্য ভীড় করে ছিলেন। কালীপুজোর দিন মাকে বিশেষভাবে রাজবেশে সাজানো হয়। ভোগেরও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় এইদিন।
বিশেষ দিনের কারণে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বহু মানুষ মন্দিরে এসেছেন তাদের মনোস্কামনা পূরণের জন্য। মায়ের কাছে ভক্ত সকলেরই একটা প্রার্থনা আগামী দিনে কোভিড থেকে যেন সবাই মুক্তি পায়। সবাই ভাল থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *