আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় সংগঠিত হিংসাত্মক সংঘর্ষে প্রাথমিক তদন্ত সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হিংসায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে।
আসলে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধীতায় ১২, ১৩ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। হিংসার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে, তাতে সংঘর্ষে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভূমিকা রয়েছে বলে অনুমান। একইসঙ্গে বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কিছু পরিবার মুর্শিদাবাদ থেকে মালদায় স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে যাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলা, হিংসা প্রবণ এলাকায় অবৈধ বাংলাদেশিদের সক্রিয় হওয়ার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, অবৈধভাবে প্রবেশ করা এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম অনুসারে যাচাই করা হয়নি। এরপরে তারা হিংসা কবলিত এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে বেশকিছু হিন্দু পরিবারকে তাদের এলাকা ছেড়ে যেতে হয়েছিল। এরপর আধা সামরিক বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়।
কেন্দ্র সরকার বাংলার হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত মূল্যায়ন করছে এবং নিয়মিত কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে তাদের রিপোর্ট চাইছে। যোগাযোগ রাখছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বাংলায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছে, এই পরিবর্তনগুলি সংখ্যালঘুদের অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। এই উত্তেজনাময় পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শনিবার ঘোষণা করেছেন, তার সরকার রাজ্যের সংশোধিত আইন বাস্তবায়ণ করবে না। কিন্তু তারপরেও জেলায় বেশ কিছু জায়গায় হিংসা অব্যাহত ছিল। বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট হিংসা কবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।