করোনা আতঙ্কে স্থগিতাদেশ জারি ভিসায়, হিলি দিয়ে ভারত ছাড়ার হুড়োহুড়ি বাংলাদেশিদের

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৩ মার্চ: করোনা রুখতে ভিসার উপর একমাসের স্থগিতাদেশে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ছাড়ার হুড়োহুড়ি বাংলাদেশিদের। বন্ধের আশঙ্কা আমদানি-রপ্তানী বানিজ্যও। শুক্রবার বিকেল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভারতে আসা যাওয়া নিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি টুরিস্টদের ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সময়ে নতুন করে কোনও বাংলাদেশি বাসিন্দা এদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এদিন এমন খবর চাউড় হতেই হিলি সীমান্তে উপচে পড়ে বাংলাদেশী পর্যটকদের ভিড়। হুড়োহুড়ি লেগে যায় ভারত ছাড়ার। দ্রুত যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এদিন সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যান প্রচুর বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এদিন প্রতিটি পর্যটককে স্কিনিং মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ফেরানো হয়েছে তাদের দেশে। যদিও ইতিমধ্যে বাংলাদেশে চলে যাওয়া যাত্রীদের এদেশে ফেরার অনুমতি থাকছে। একই ভাবে এপারে ভিসা নিয়ে আসা পর্যটকদেরও ফেরানো হবে ওপারে।

ভারত – বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট। যেখান দিয়ে দুদেশের বাণিজ্য ছাড়াও চলে দুদেশের মানুষের পারাপার। প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়েই প্রায় চারশো থেকে পাঁচশো মানুষ পাসপোর্ট দেখিয়ে বৈধভাবে পারাপার হন উভয় দেশে। করোনা আতঙ্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে হাই এলার্টের পর দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তেই বিদেশীদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে লাগাম দেয় ভারত সরকার। আর যার জেরে প্রায় একমাসের জন্য ভিসার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সরকার। এদিন সীমান্তে সেই খবর পৌছাতেই সকাল থেকে ভারত ছাড়ার হুড়োহুড়ি লেগে যায় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজনেদের।

বাংলাদেশ থেকে আগত এক বাসিন্দা দেবাশিস সাহা জানিয়েছেন, স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। এদিন তিনি ফিরে যাচ্ছেন। করোনা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে ভিসা বাতিলের কথা শুনেছেন। আর তার জেরেই তড়িঘড়ি ভারত ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

হিলি এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন সম্পাদক সনজিত মজুমদার বলেন, সেভাবে কোনও নির্দেশিকা এখনও তাদের কাছে এসে পৌছায়নি। তবে ভিসার উপর স্থগিতাদেশের বিষয়টি তাদের কানেও এসেছে। করোনার জেরে বানিজ্য বন্ধ হলে প্রচুর ক্ষতি হবে উভয় দেশেরই। বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনায় বসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *