আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদ, মালদহে অশান্তির পেছনে কি বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা রয়েছে? এই আশঙ্কা অনেকেই করেছেন। বাংলাদেশের চাপাই, নবাবগঞ্জের মৌলবাদীরা এর পেছনে থাকতে পারেন বলে অনুমান বিএসএফের গোয়েন্দাদেরও। দু’দেশের মধ্যে অরক্ষিত এলাকা নিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এখানে ঢুকেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে অশান্তি শুরু হয়, যা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সুতি, ধুলিয়ান সহ প্রায় গোটা জেলায়। মূলত বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে, যা আইজির কাছে ইতিমধ্যেই জমা করা হয়েছে। ওপার বাংলার চাপাই, নবাবগঞ্জ এলাকার সব থেকে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিচিত, যা বাংলাদেশ প্রশাসনও জানিয়েছে। সেখানে দিনের পর দিন মৌলবাদীরা তাণ্ডব দেখিয়েছিল। তাদের সম্পূর্ণ ইন্ধন ও উস্কানি রয়েছে এখানে। তাতে পা দিয়ে এপার বাংলার মুর্শিদাবাদ, মালদহের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কায়দায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে লুটপাট চালানো হয়েছে, পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে, পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর হয়েছে, সেই একই কৌশল অবলম্বন করেছে এপারের তাণ্ডবকারীরাও। কৌশলগত দিক থেকে দুই ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। মুর্শিদাবাদের পর মালদহ আরো বেশি করে টার্গেট হতে পারে। ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশকে বিএসএফের তরফে সচেতন করা হয়েছে। বিএসএফের যত অরক্ষিত এলাকা রয়েছে সেই জায়গাতে বসেই ওপারের মৌলবাদীরা এখানকার লোকেদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এমনকি ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করা হয়েছে বলে বিএসএফের ইন্টেলিজেন্স টিম জানতে পেরেছে।