২১-র ভোটের আগে সর্বশক্তি দিয়ে বনধ করে নিজেদের অস্তিত্বের কথা মনে করালো বামেরা

আমাদের ভারত, ২৬ নভেম্বর: নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা সহ একগুচ্ছ দাবিতে বামেদের বনধে খানিক সাড়া পড়লো রাজ্যে। বলা যায় ২১-র নির্বাচনের আগে ফের একবার নিজেদের অস্তিত্বের কথা স্মরণ করালো বামেরা। বনধে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব কতটা পড়ল তা পরবর্তী বিচারের বিষয়। কিন্তু এই বনধে বাম কর্মী সমর্থকদের ওয়ার্ম আপের কাজটা যে মন্দ হয়নি তা বলাই বাহুল্য। কারণ সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে দেখা গেছে যেখানে যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে সেটা নিয়েই বামেরা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে বনধ সফল করতে।

মিছিল, পিকেটিং,রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধ, কোথাও টায়ার পোড়ানো, কোথাও পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধস্তি। এমনি একাধিক ঘটনার ছবি রাজ্য জুড়ে একের পর এক সামনে এসেছে আজ। একাধিক পন্থায় যে বনধ সফল করতে আজ মরিয়া ছিল বাম কর্মী সমর্থকরা তার ছবি স্পষ্ট। অনেকেই বামেদের সাইনবোর্ড হয়ে গেছে বলে কটাক্ষ করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু আজকের বনধ কার্যত তাদের আঙুল দিয়ে দেখালো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বামেরা। তাই তো যেখানে যতটুকু শক্তি আছে তা নিয়েই তারা ঝাঁপিয়েছে আজ।

কিন্তু বামেদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত রাজ্যের শাসকদলের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে কি? কারণ লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট গেছে রামে বলে নিজেদের দুর্বলতা ঢেকেছিল তারা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু আজকের বনধ পারফরম্যান্সের পর যদি বামেরা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ফিরে পায় তাতে তৃণমূলের লাভ কিছুই হবে না। তার মধ্যে বিহারের ভোট কাটতে দোসর হয়ে মিম নামছে ২১-র নির্বাচনে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে এখনো পর্যন্ত ২১-র নির্বাচন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আজকের বনধ দেখার পর সে ধারণা পাল্টে যেতে পারে। লড়াই ত্রিমুখী হতেই পারে। কারণ আজকের পর এটা স্পষ্ট বাম-কংগ্রেস ফের লড়াইয়ের ময়দানে নামতে তৈরি। নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ফেরাতে তারা মরিয়া। তবে তাতে তারা কতটা সফল তা বলবে ভোটের ফলাফল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *