আমাদের ভারত, ২১ ফেব্রুয়ারি: খালিস্তান-কাণ্ডে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফিরিয়ে আনলেন ২০২০-র ৮ অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযানে হাজির থাকা বলবিন্দর সিংকে। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের পাকড়াও করার পর ১১ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকতে হয় তাঁকে। এরপর জামিন পান পাগড়ি-কাণ্ডে ধৃত।
বুধবার শুভেন্দুবাবু ছবি-সহ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “২০২০ সালে, কলকাতায় ভারতীয় যুব জনতা মোর্চার প্রতিবাদের সময়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলবিন্দর সিংকে হেনস্থা করে। তাঁর পাগড়ি টেনে নামিয়ে দেয়, চুল ধরে টেনে নিয়ে যায়। সেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এখনও বলবিন্দর সিংয়ের কাছে ক্ষমা চায়নি বা তাঁকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে তারা একটি বিপর্যয় তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে এটিকে সন্দেশখালি থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ বিমুখ করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা যায়।”
প্রসঙ্গত, ’২০-তে গ্রেফতারের সময় বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খুলে নিয়ে যাওয়া নিয়ে অন্য বিতর্ক দানা বাঁধে। বিজেপি থেকে শুরু করে ক্রিকেটার হরভজন সিংহ, শিরোমণি অকালি নেতা সুখবিন্দর সিংহ, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ পাগড়ি-কাণ্ডের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ ওই শিখ যুবকের পাগড়ি খুলে দিয়েছিল। বিষয়টি শিখ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও অভিযোগ করেন অমরিন্দর থেকে হরভজন সকলে। বিতর্ক আরও দানা বাঁধে দিল্লির শিখ গুরুদ্বার কমিটির সদস্যরা হাওড়ায় এসে পৌঁছনোর পর। শিখ ধর্মীয় নেতারা বলবিন্দরের মুক্তির আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুক্তি না দিলে ধর্নায় বসার হুমকি দেন বলবিন্দরের স্ত্রী করমজিৎ কউর।
পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘পুজোর উপহার’ সালোয়ার স্যুট এবং শাল পৌঁছয় বলবিন্দরের স্ত্রী এবং পরিবারের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য উপহারের পাল্টা তাঁকে সম্মান জানিয়ে পাগড়ি উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলবিন্দরের স্ত্রী করমজিৎ। বলবিন্দরের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও বাতিল করা হয়। শিখ ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে বলবিন্দরের স্ত্রী-পরিবার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার।