আমাদের ভারত, কলকাতা, ৪ জানুয়ারি: ফের দলীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ বৈশাখী ব্যানার্জির। যার জন্য তাকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত মিছিল করল বিজেপি। সোমবার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। সেই মিছিলের মূল আকর্ষণ ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি। কিন্তু কলকাতা জেলা কমিটির কো কনভেনার শঙ্কুদেব পান্ডাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী। তাই আজকের মিছিলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি বলে দলীয় সূত্রে খবর।
মুরলীধর সেন লেন সূত্রের খবর, বৈশাখী ব্যানার্জি যে মিছিলে আসবেন না তা রবিবারই রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মান ভাঙাতে গতকাল রাতে তার বাড়িতে ছুটে যান যুব নেতা দেবজিৎ সরকার। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চলে তাদের মধ্যে। তারপরেও মান ভাঙানোর সম্ভব হয়নি। আর বৈশাখী ব্যানার্জিকে ছাড়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ও আজকের এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেননি। যার ফলে রাজ্য বিজেপিতে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জিকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে মিছিল করল বিজেপি। মিছিলে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এবিষয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, দলের মিছিল করার কথা ছিল। দল মিছিল করেছে। কলকাতায় গণতন্ত্র উদ্ধারে এইরকম মিছিল বিজেপি আরও করবে। তার পরই তিনি অভিযোগ করেন, হেস্টিংস তাকেও মুকুল রায়কে দেখে তৃণমূল কর্মীরা জুতো ছোড়েন। হতাশা থেকেই তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
পাশাপাশি শোভন চ্যাটার্জি ও বৈশাখী ব্যানার্জি মিছিলে না আসায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কেন তারা আসেনি তা দল দেখবে। না আসার পিছনে কি কারণ তা দল জানতে চাইবে। এরপর তা আমরা আমাদের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে জানিয়ে দেবো বলেও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।