আমাদের ভারত, ২৬ এপ্রিল: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিরক্ষা অভিযান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির উপর সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য দেশের সমস্ত সংবাদ মাধ্যম ও চ্যানেলগুলির উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পেহেলগাঁও হামলার পর ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত মিডিয়া, প্ল্যাটফর্ম, সংবাদ সংস্থা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয় প্রকাশ করার সময় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন এবং বিদ্যমান আইন ও বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা অভিযান বা সেনার গতিবিধি সম্পর্কিত উৎস ভিত্তিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনো রিয়েল টাইম কভারেজ, ভিজুয়াল প্রচার বা প্রতিবেদন করা উচিত নয়। সংবেদনশীল তথ্যের প্রকাশ অসাবধানতা বশত শত্রুপক্ষকে সহায়তা করতে পারে এবং অভিযানের কার্যকারিতা ও সেনা কর্মীদের নিরাপত্তা বিপন্ন করতে পারে।
নির্দেশিকায় মন্ত্রকের তরফ থেকে কার্গিল যুদ্ধ এবং মুম্বাই জঙ্গি হামলা সহ অতীতের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে অনিয়ন্ত্রিত মিডিয়া কভারেজের ফলে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছিল।
এর আগে মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সমস্ত টিভি চ্যানেলকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বিধি ২০২১- এর নিয়ম ৬ (১) মেনে চলার পরামর্শ জারি করা হয়েছে। নিয়ম ৬ (১) বলে যে কেবল পরিষেবায় এমন কোনো অনুষ্ঠান প্রচার করা উচিত নয়, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সরাসরি সম্প্রচার থাকে। সেখানে মিডিয়া কভারে যথাক্রমে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তার দ্বারা পর্যায়ক্রমিক ব্রিফিং- এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যতক্ষণ না এই ধরনের অভিযান শেষ হয়।
আরো বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গণমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইনের বাধ্যবাধকতা ছাড়াও আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপগুলি যাতে চলমান অভিযান এবং আমাদের বাহিনীর নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে তার নিশ্চিত করা একটি যৌথ নৈতিক দায়িত্ব।