আমাদের ভারত, ১১ জুন: মহেশতলার সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এটা হিন্দুদের উপর মুসলিমদের অত্যাচারের ঘটনা। তুলসী মঞ্চ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মেটিয়াবুরুজ থেকে মুসলিম দাঙ্গাকারীরা এসে হিন্দুদের মারধর করে, তাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গেছে এমনকি পুলিশকেও মেরেছে। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এই ঘটনায় আবার প্রমাণ হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে হিন্দুরা সুরক্ষিত নয়।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মহেশতলার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই ঘটনায় নিজের বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা বলেছেন, “ডায়মন্ড হারবারের মহেশতলায় রবীন্দ্র নগর থানা এলাকায় আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা আরো একবার চোখ খুলে দিল পশ্চিমবঙ্গবাসীর। বিশেষত বাংলার হিন্দুদের চোখ খুলে দিল। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতারা প্রথম থেকেই বলে আসছে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে হিন্দুরা সুরক্ষিত নয়, পুলিশ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বাঁচাতে পারবে না।” তাঁর অভিযোগ, তুলসী গাছ তুলে মঞ্চ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে এই গন্ডগোল বাধে।
তাঁর কথায় এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা ঠিক নয়, কারণ একতরফা মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর ভেঙ্গেছে। হিন্দুদের মেরেছে। এমনকি পুলিশকে পর্যন্ত ছাড়েনি। পুলিশ এখানে লাঠিচার্জ করেনি। দুটো গুলি চালালে লাশ পড়লেই পালিয়ে যেতো। তিনি বলেন, মেটিয়াবুরুজ থেকে মুসলিম দাঙ্গাকারী গিয়ে মহেশতলায় দাঙ্গা- হাঙ্গামা করেছে, অথচ ইতিহাস পড়লে বোঝা যায় এই মেটিয়াবুরুজের লোক যারা, তারা লক্ষ্মৌ- এর নবাবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। তারা আদতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষই নন। অথচ আজ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের তারা ঘর ছাড়া করছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বাঙালি হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,
“বাঙালিরা ভাবুন। আগামী দিনে আপনাদের চরম বিপদ অপেক্ষা করছে, যদি না সচেতন হন।”
নিজের বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করা ছাড়াও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, হিন্দুদের আদি দেবতা মহাদেবের মন্দির প্রাঙ্গণে এক নির্লজ্জ হামলা চালানো হয়। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের নাকের ডগায়, পবিত্র তুলসী মঞ্চগুলি প্রকাশ্য দিবালোকে ভেঙ্গে ফেলা হয়। হিন্দুদের উপর অশ্লীল গালিগালাজ এবং তাদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে, অপরাধীদের উপর কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি আত্মরক্ষার জন্য একটি লাঠিও তোলা হয়নি। এই ইসলামী দুর্বৃত্তরা একতরফা, পরিকল্পিত আক্রমণ শুরু করে, বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে ভেঙে দেয়। অথচ পুলিশ নিষ্ক্রীয়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।
সমগ্র বাংলাজুড়ে, এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। রবীন্দ্রনগরের ঘটনা একটি কঠিন সত্যকে উন্মোচিত করেছে। বাঙালি হিন্দুদের তাদের নিজস্ব ভূমি থেকে অস্তিত্ব মুছে ফেলার জন্য একটি গভীর, বিপজ্জনক চক্রান্ত চলছে। তাঁর আহ্বান, “এটিই হোক শেষ জেগে ওঠার ডাক। আজ আপনার বাড়ির বাইরে যা ঘটেছে তা আগামীকাল আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে। বিশৃঙ্খলার এই বহিরাগত এজেন্টরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে হিন্দুদের উৎখাত করতে চাইছে একজন ব্যর্থ এবং আপোষহীন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সহযোগিতায়।”