খোদ কলকাতায় পুজোর ওপর হামলা, ক্ষুব্ধ বিজেপি

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২০ মার্চ: খোদ মধ্য কলকাতায় শীতলা পুজোর ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্ষোভ দেখাল বিজেপি। এ নিয়ে টুইটারে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির এক প্রতিনিধি দল।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আক্রমনের ভিডিও যুক্ত করে টুইটে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গের খাস কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের বুকে মানুষের শীতলা পুজো করার অধিকারটুকু নেই? এখানে অলিখিত কোনো ফতোয়া আছে নাকি? যার নেতৃত্বে যারা এই জাগরণ মঞ্চ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটালো তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।“

বিগ্রহের ওপর রাতে আক্রমনের ভিডিও যুক্ত করে শুভেন্দুবাবু টুইটে লিখেছেন, “এই হল মধ্য কলকাতার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ‘সহজে শনাক্তযোগ্য’ দুর্বৃত্তরা সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ‘জাগরণ’ ভাঙ্গচুর করেছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার দয়া করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন। যে কোনো নিষ্ক্রিয়তাকে অনুমোদন হিসাবে ভুল বোঝানো যেতে পারে। কলকাতা পুলিশ ও পুলিশ কমিশনারকে এই টুইট যুক্ত করেছেন শুভেন্দুবাবু।

টুইটের প্রতিক্রিয়ায় অনেকে টুইট করেছেন। গার্গী মুখার্জি লিখেছেন, “মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে অসম, ওড়িশা চলে যেতে হবে। অবিলম্বে দেশে দুই সন্তানের আইন চাই। বর্ডার টপকে ঢুকছে জলপথে আর চারটে বৌ কুড়িটা বাচ্চা বানিয়ে ছেয়ে যাচ্ছে রক্তবিজের মত। কলকাতাতে দিনের বেলায় খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস, গার্ডেন রিচে পুলিশ ঢুকতে পারে না ভয়ে, সাধারণ মানুষ তো দূরের বিষয়।”

ডঃ উজ্জ্বল মজুমদার লিখেছেন, “শুভেন্দুবাবুকে কেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পছন্দ করবে না? এই প্রথম দেখলাম কোনো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অনেক অচেনা-অজানা বিষয়কে জনগণের সামনে তুলে ধরে মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি অস্থির সরকার চলছে, তার থেকে মুক্তি চাই ?“

কাকলি বিশুই লিখেছেন, “দলটির নাম তৃণমূল। এখানে না আছে কোনও শৃঙ্খলা, না আছে কোনও আইন-কানুন, না আছে কোনও সুস্থ মানুষ। সুতরাং যা ঘটবার তাই,ই ঘটছে। তার প্রভাবও পড়ছে সরকারে এবং সমাজ জীবনে”।

নলিনী রঞ্জন মণ্ডল লিখেছেন, “পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশের থলেদার অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। আর বাংলার পুলিশ তো তৃণোদলদাসে পরিণত, উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকরা নেত্রীর হাতের পুতুল। অতএব সুশাসন, নচেৎ নৈব নৈব চঃ।”

তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে তাঁদের দলের কারও সম্পর্ক নেই। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারও নামে অভিযোগ নেই। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *