আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২০ জানুয়ারি: ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে গুলিতে নিহতদের ছবিসহ পোস্টারেও হামলা চালাল দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ, আজ বিকেলে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতি হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই পোস্টারে লাথি মারার পাশাপাশি সেগুলি ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ছবিসহ পোস্টারে হামলা করার ঘটনায়, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকার বাসিন্দারা একযোগে প্রতিবাদ শুরু করেছে। এলাকার রাস্তা অবরোধ করে তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বাসিন্দাদের দাবি দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
২০১৮ সালের , ২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র–পুলিশ সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনায় গুলিতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন নামে দুইজন ছাত্র মারা যাওয়ার পাশাপাশি একজন ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। প্রায় ৫২ দিন স্কুল বন্ধ থাকার পরে স্কুলে পঠন পাঠন শুরু হয়েছে।
ঘটনার দিন থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এই দাবিতে অনড় থাকার পাশাপাশি রাজেশ ও তাপসের দেহ এলাকার নদীর পাশে সমাহিত করে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার ওই ঘটনার সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে সহযোগিতা করেনি।
বিজেপি’র পক্ষ থেকে ঘটনার প্রথমদিন থেকেই স্থানীয়দের দাবিকে সমর্থন করা হয়েছে। বিজপি’র পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, অমিত শাহ ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাথে দেখা করানো হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে এসে দাড়িভিটের নিহতদের পরিবারকে সিবিআইতদন্তের ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি।
এই ঘটনার পর থেকেই তাপস ও রাজেশের ছবি দেওয়া পোস্টার দাড়িভিট স্কুল চত্বরে লাগানো রয়েছে। অভিযোগ, আজ বিকেলে কয়েকজন দুষ্কৃতি ওই পোস্টারগুলিতে লাথি মারার পাশাপাশি সেগুলি ছিড়ে ফেলে। তাপসের মা মঞ্জু বর্মন জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি কার্তিক বৈরাগীর ভাই দুলাল বৈরাগী এই কাজ করেছে।তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।