পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৬ সেপ্টেম্বর: শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, না ভুতুড়ে বাংলো তা বুঝতেই আঁতকে উঠবেন অনেকেই। তৈরির ১৭ বছরেও হয়নি সংস্কার। আর তাই খুলে পড়ছে ছাদ, ভেঙ্গে পড়ছে দেওয়াল। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে থাকছে খুদে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা। ১৭ বছরেও কেন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটির দিকে নজর গেল না প্রশাসনের তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত আদিবাসী মানুষরা। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি হিলির মানিকো পাহান পাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিলি ব্লকের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকো পাহান পাড়ায় অবস্থিত ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি। যেখানে প্রায় ৪০ জন খুদে পড়ুয়া রয়েছে। ২০০৫ সালে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি তৈরি হবার পর থেকে আর সেভাবে হয়নি কোনো সংস্কার। আর যার কারণেই কার্যত ভুতুড়ে ভগ্নদশাপ্রাপ্ত বাংলোয় পরিণত হয়েছে। ঘরের চারদিকে বড়ো বড়ো ফাটলে যে কোনো মুহূর্তে তৈরি হয়েছে ভেঙ্গে পড়বার আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, সাপের উপদ্রবেও রীতিমতো আতঙ্কিত পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সংস্কারের অভাবে ঘরের ভিতর গজিয়ে উঠেছে বড় বড় আগাছা। জঙ্গলে ভরে রয়েছে চারপাশ। এমনকি ঘরের ছাদের টিনও ভেঙ্গে পড়েছে। দেওয়াল ফেটে যাওয়ায় সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে পড়ুয়া ও দিদিমণিদের। এমন পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পেতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অভিভাবক সহ গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও কেন শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি প্রশাসনের নজরে আসছে না সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এলাকার বাসিন্দা অমি পাহান ও তাপসি পাহানরা বলেন, যে কোনো মুহূর্তে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যখন তখন সাপের ডিম বেরচ্ছে স্কুলের ভেতর থেকে। যা নিয়েও রীতিমতো আতঙ্কিত তারা। বার বার অভিযোগ জানাবার পরেও কোনো এক অজানা কারণে তা মেরামত হচ্ছে না।
শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দিদিমণি কবিতা বর্মন তার কেন্দ্রের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে তিনি নিজেও আতঙ্কিত। যে কোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কি কারণে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি সারাই হচ্ছে না তা তারও অজানা।