আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২২ এপ্রিল: দূষণ মুক্ত পরিবেশই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। কিন্তু রামপুরহাটের একমাত্র খেলার মাঠে গিয়ে দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। রবিবার ঘটা করে উৎসবের মেজাজে রক্তদান শিবির করা হয়েছিল রামপুরহাট গান্ধী পার্ক ময়দানে। খোদ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আয়োজিত ওই রক্তদান শিবিরের শেষে খেলার মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তে সংগ্রহের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। রক্তের উপর মাছি ভন ভন করছে। মাঠে খেলতে গিয়ে রক্ত সংগ্রহে ব্যবহৃত আবর্জনা ও রক্ত দেখে আঁতকে উঠছে কচিকাঁচারা।
রক্তদান উৎসব। এই নামেই রবিবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন সন্ধে পর্যন্ত ৯১৯ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। রক্তদান শিবির দু’দিন আগে হয়ে গেলেও এখনও খেলার মাঠ থেকে খোলা হয়নি প্যান্ডেল। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রক্ত সংগ্রহের সিরিঞ্চ, তুলো, গজ এমনকি পাইপ লাইনে থাকা রক্ত, ছোট ছোট সিসি ভর্তি রক্ত। উদ্যোক্তাদের এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমী মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ কুমার চন্দ্র বলেন, “রক্তদান ভালো উদ্যোগ। তাই বলে শিবিরের আগে ও পরে দশদিন খেলা ধুলো বন্ধ থাকবে।রামপুরহাট শহরের একমাত্র খেলের মাঠ গান্ধী পার্ক। সেই মাঠ দিন দিন নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে খেলা- মেলা করে। মাঠে যত্রতত্র রক্ত, সূচ, রক্তমাখা তুলো, ব্যান্ডেজ পড়ে রয়েছে। ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। সেই বলে রক্ত লাগছে। খালি হাতে সেই বল কুড়িয়ে খেলছে ছেলেরা। সেখান থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি উদ্যোক্তাদের দেখা উচিত।”
রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কলকাতায় রয়েছি। ফলে কদিনের জন্য মাঠের জায়গা নিয়েছিল সেটা জানতে হবে। এখন মাঠ কী অবস্থায় রয়েছে সেটাও আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখছি।”
রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, “এরকম হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
তবে এনিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হোয়াটসঅ্যাপের প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।