আমাদের ভারত, মালদা, ২৯ নভেম্বর: রবিবার সকালে মালদার নেতাজি সুভাষ রোড এলাকায় চায় পে চর্চায় আসেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সেখানে দলের সদস্যদের সঙ্গে চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পুজোর সময় যখন ঘুরতে যেতাম তখন দেখতাম ট্রেনের রিজার্ভেশনের জন্য লম্বা লাইন। এখন মাত্র ৪ কেজি আলুর জন্য ৩৫০ মানুষ ভোরবেলা থেকে লাইন দিয়েছে।
সায়ন্তন বসু বলেন, ফড়েরা কৃষকের কাছ থেকে ৫ টাকা, ১০ টাকা কিলো আলু নিচ্ছে গ্রামে-গঞ্জে। আর খোলাবাজারে তা ৪৫ টাকা ৫০ টাকা কিলো বিক্রি হচ্ছে। আর মানুষ লাইন দিচ্ছে তিন ঘন্টা ৪ ঘন্টা ধরে সরকারের ২৫ টাকা কিলো আলু কেনার জন্য। এর থেকে চূড়ান্ত অরাজকতা হয় না। মধ্যস্বত্বভোগী তৃণমূলের দালাল ফড়েদের গোডাউনগুলিতে যদি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি যদি হানা দেয় তাহলে কুইন্টাল কুইন্টাল আলু পাওয়া যাবে। সেই আলু কেন খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে না। তার কারণ হচ্ছে পাঁচ টাকার আলু খোলা বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৫ টাকা প্রফিট থেকে ৪০ টাকা তৃণমূলের কাছে চলে যাবে। তার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। কয়লা পাচার, লোহা পাচার, গরু পাচার কাটমানি সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন জিনিসের দাম বাড়িয়ে কাটমানি নিয়ে ভোটের খরচা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে আলুর দাম ১০০ টাকা কেজিতে নিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুমাত্র নিজেদের ভোটের খরচ তুলতে এই কাজ করছে।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। কয়লা পাচার গরু পাচার এগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। এই ইস্যু নিয়ে মানুষের কাছে গেলে মানুষ তা ভাল চোখে নেবে না।