আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৩ জানুয়ারি:
২২ তারিখ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে যাচ্ছেন না, গঙ্গাসাগর মেলায় এসে সাফ জানিয়ে দিলেন পুরী গোবরধনপীর এর স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। কি কারনে তিনি যাচ্ছেন না রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সেই কারণও তিনি ব্যাখ্যা করলেন। তিনি বলেন, “যারা রাজধর্ম পালন করেন, সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে তাদের উচিত রাজধর্ম পালন করা”। যারা ধর্ম শাস্ত্র পালন করেন তাদের ধর্মশাস্ত্র পালন করাই উচিত। রাজ ধর্মের লোক ধর্মীয় শাস্ত্র আচার-আচরণ বারণ করতে গেলে কিছুটা হলেও অসুবিধা হয়। ধর্ম কর্ম করা মানুষকে ধর্ম কর্মই পালন করা উচিত।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে দেব বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসব রয়েছে। একই সঙ্গে উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। এদিকে, কয়েক মাস গেলেই ২০২৪ লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপি সরকারের রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধীরা সওয়াল করছে। এদিকে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরতি অনুষ্ঠানে শামিল হবেন। তিনি আমন্ত্রিত রয়েছেন উদ্বোধনের মুখ্য অতিথি হিসাবে। এমন এক অনুষ্ঠানে দেশের ৪ শঙ্করাচার্যের উপস্থিত না হওয়ার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। এছাড়াও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামের বিগ্রহ স্পর্শ করবে এবং সেই বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। আর আমি ওখানে বসে হাততালি দেবো। আমি আমার পদমর্যাদার কারণে ওখানে যাবো না। কিছু কিছু হিন্দু সংগঠন থেকে বলা হচ্ছে, যারা রাম মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবে না তারা অহিন্দু। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কাউকে রাম মন্দির উদ্বোধনে যেতে বারণ করছি না। যাদের ইচ্ছা হবে তারা রাম মন্দির উদ্বোধনে অবশ্যই যাবেন।
এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্মাদের মতন আচরণ করছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানগুলিকে সরকার পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলছে আর এর ফলে তীর্থস্থানের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। মানুষ তীর্থস্থানে তীর্থ করতে যায়, ওখানে মানুষ ঘুরতে যায় না। এদিন প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ করেন তিনি।

