আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৮ জানুয়ারি: বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সিইএসসির চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সমালোচনায় মুখর হলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “সিইএসসি বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই সংস্থা থেকে অন্যায় ভাবে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। অথচ দেশের মধ্যে অন্য রাজ্যের তুলনায় সব থেকে বেশি বিদ্যুতের দাম সিইএসসি বাংলার জনগণের থেকে আদায় করে। তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে একচ্ছত্র ব্যবসা করে বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে সিইএসসি প্রধান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসলে সিইএসসিকে এই সব অন্যায়ের জবাব দিতে হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় সি ই এস সি গেটের উল্টোদিকে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে এই ভাষাতেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির ভাই ভাইপোদের কথায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কোম্পানি যাদের চাকরি থেকে বসিয়ে দিয়েছে আগামীদিনে তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।”

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়কদের চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করে, মুখ্যমন্ত্রী তবে কেন নিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড? উনি কি জিতবেন না বুঝেই কার্ড সংগ্রহ করেছেন? তাঁর প্রশ্ন মাত্র ২ দিন আগেই দেখা গেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়ে আর পাঁচ জন আমজনতার মাঝে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংগ্রহ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণকে এইভাবে কটাক্ষ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তিনি বলেন, “যারা সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী হন, তাদের চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করে। তাদের কারুর আলাদা করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দরকার পড়ে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছেন কারন তিনি বুঝে গেছেন আগামী দিনে তিনি আর বিধায়ক হবেন না, মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। তাই তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে রাখলেন।”
টিটাগড়ে বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে সাংসদ অর্জুন সিং, বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্যরা।

