আমাদের ভারত, ১৬ মার্চ: দোলের দিন তমলুকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, দোলের দিন সেখানে বেশ কয়েকজন হিন্দুকে আল্লাহু আকবর এবং জয় বাংলা স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। বিজেপি নিজেদের পোস্টে একটি মহিলার বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
যে ভিডিও বঙ্গ বিজেপির তরফে পোস্ট করা হয়েছে তাতে এক মহিলাকে অভিযোগ করতে শোনা যাচ্ছে, প্রতিদিন ওই এলাকায় বেশ কিছু যুবক এসে জমায়েত করে। এর জেরে ওই এলাকায় কেউ ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। মেয়েদেরকেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দোলের দিন এমনই ৫০টির মতো বাইকে প্রায় ১০০ জন লোক টুপি পড়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এক যুবককে তারা জিজ্ঞেস করেন তুই কি হিন্দু? তারপরেই তাকে মারধর করা হয়। তার শারীরিক পরিস্থিতি এমনই হয় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, বাংলায় হিন্দুরা অবরুদ্ধ। মমতার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের মারধর হয়রানি করা হয়। তাদের চুপ করিয়ে রাখা হয়। দোলের দিন তমলুকের হিন্দু যুবকের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। কারণ সে শুধুমাত্র ইসলামপন্থী হয়রানি প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল।
সেই সময় মাতঙ্গিনী হাজরার একটি মূর্তির ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেখানে জনতা ছুটে গেলেও পুলিশ সবটা দাঁড়িয়ে দেখে। সেখানে জয় বাংলা আল্লাহু আকবর বলতে বাধ্য করা হয়। নাহলে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এটাই কি বাংলার হিন্দুদের ভবিষ্যৎ? হিন্দুদের সতর্ক করে বলা হয়েছে “জাগো হিন্দু।”
অন্যদিকে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল এলাকা। যার জেরে ওই এলাকায় ১৭ মার্চ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। পরে হিংসায় যুক্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকাজুড়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সাঁইথিয়া ছাড়াও নানুরের কির্ণাহার থানা এলাকাতেও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। সেখানেও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।