আমাদের ভারত, ১১ মার্চ: খোদ অমিত শাহ বলেছেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ লাগু হবে। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও বার বার সেটাই দাবি করেছেন। দিন কয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে শোনা গিয়েছিল, সমস্ত কিছু প্রস্তুত হয়ে গেছে। পোর্টালও তৈরি। আজ সেই মতো সিএএ লাগুর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। এরপরেই সুকান্ত মজুমদার বললেন, আমরা যা বলি সেটাই করি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর এর বিরোধিতা করে এসেছেন এবং সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়েছেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিএএ লাগু হবে আগেই বলা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন লোকসভা ভোটের আগেই এই আইন লাগু হবে। লোকসভাতে আগেই এই আইন পাশ হয়ে গিয়েছিল। তার নিয়ম নীতি তৈরি হওয়া বাকি ছিল। সেই নীতি এবার জানিয়ে লাগু করে দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে যারা উদ্বাস্তু, যারা বাংলাদেশের ওপার থেকে ধর্মীয় কারণে এপারে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
তিনি আরও দাবি করেন, এর ফলে প্রমাণ হয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলেছিলেন। মুসলিমদের মিথ্যে কথা বলে উস্কেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন ঠিক এই সময়ই কেন? ভোটের আগে কেন? এর জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অন্য সময় হলে উনি ডিস্টার্ব করতেন। সেই জন্য এখন করা হয়েছে। এখন উনি ডিস্টার্ব করতে পারবেন না। এখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন কেন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এসব করছেন। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আজ ওনার
(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) বক্তব্যের মধ্যে যথেষ্ট উস্কানিমূলক মন্তব্য ছিল এবং আজ রাত্রিবেলা থেকেই বিশেষ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর দ্বারা যাতে কিছু করা হয় তার উস্কানি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।
সিএএ বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওনার কিছু করার নেই। বরদাস্ত করা হবে না মানে কি? এটা কি উনার পৈত্রিক সম্পত্তি? দেশের সংবিধান বলছে কে নাগরিকত্ব পাবে, কে নাগরিকত্ব পাবে না। সেটা তো লোকসভা, রাজ্যসভাতে ঠিক হবে। তাহলে ওনাকে বলুন লোকসভা এবং রাজ্যসভা তুলে দিতে। উনি পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা থেকে ঠিক করে পাঠিয়ে দিক আর সেই অনুসারে গোটা দেশ চলুক। সেটা যে সম্ভব না সেটা কি জানেন না?
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি জানান, সব জায়গায় হিন্দু উদ্বাস্তুরা আনন্দ করছে। কারো কোনো অসুবিধা নেই। শুধু মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন।