আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: প্রয়াত হলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা তথা রাজ্যের শিক্ষক আন্দোলনের পুরোধা এবং নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির(এবিটিএ) প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অপরেশ ভট্টাচার্য।অপরেশবাবু ১৯৪৬ সালে সবং ব্লকে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। প্রথম জীবনে সবং ব্লকের নারায়ণবাড় হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে মেদিনীপুর টাউন বয়েজ স্কুলে যোগ দেন এবং ২০০৬ সালে অবসর নেন। অবিভক্ত মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলে সাত বারের জন্য টানা ২২ বছর এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন এবিটিএ রাজ্য কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিপিআই(এম)এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।
বুধবার সন্ধ্যের পর মেদিনীপুর শহরের সুভাষনগরের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রদ্ধা জানাতে নার্সিংহোমে উপস্থিত হন তাঁর অনুরাগীরা।ছুটে আসেন জেলার বামপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব ও কর্মীরা, হাজির হন শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন দীপক সরকার, তরুণ রায়, কীর্তি দে বক্সী, তাপস সিনহা, সুভাষ দে, বিজয় পাল, মেঘনাদ ভুঁইঞা, সত্যেন মাইতি, সমর মুখার্জি, সৌগত পন্ডা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ছিলেন এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক বিপদতারণ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। নার্সিং হোম থেকে মরদেহ অপরেশবাবুর সুভাষ নগরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর একমাত্র প্রবাসী কন্যা ও জামাতার দেশে ফিরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দু-তিন দিন সময় লাগবে তাই মরদেহ সংরক্ষণে জন্য তাঁর দেহ বুধবার রাতেই কলকাতার পিস হেভেনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কন্যা-জামাতা এসে উপস্থিত হলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অপরেশ বাবুর প্রয়াণে জেলা শিক্ষক মহলে এবং বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার প্রয়াণে জেলার শিক্ষা আন্দোলনের একটি যুগের অবসান ঘটলো বলে জানান দীপক সরকার।