এই টিপসে ৫ মিনিটে সাড়া দেবে যেকোনো সুন্দরী

আমাদের ভারত, ১৭ নভেম্বর: মানুষকে আপন করে নেওয়ার কলা কৌশল পৃথিবীর খুব কম মানুষই জানে। এটি একটি বিশেষ দক্ষতা। হয়তো দেখে থাকবেন আপনারই পরিচিত কেউ অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে অন্য যে কোনও মানুষের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে পারে। মানুষের সাথে খুব সুন্দরভাবে মিশতে পারে। কথা বলতে পারে। ফলে তাদের সে সম্পর্ক টেকে অনেকদিন। অথচ দেখা যায় আপনি নতুন কোনও মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অথবা লজ্জা পাচ্ছেন। কাজ করছে সংকোচ এবং দ্বিধা নিয়ে।  ভাবছেন কি দিয়ে শুরু করবেন অথবা কি বলে কথা চালিয়ে যাবেন।

আপনাদের কাছে শেয়ার করা হবে কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে মানুষকে আপন করে নিতে পারবেন। তবে বিস্তারিত শুরু করার আগে একটা কথা মনে রাখবেন, একই সূত্র সবার জন্য সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। কারন পৃথিবীর কোনও সম্পর্কই কোনও নির্দিষ্ট সূত্র দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। এটি স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আর একটি জিনিস দেখবেন, এই ধরনের মানুষ, যারা অন্যকে আপন করে নিতে পারে তারা কখনই কোথাও আটকে থাকে না। মানুষ তাদের দু হাত ভরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষ তাদের ভালোবাসে। আপনিও যদি মানুষের ভালোবাসা পেতে চান। আশাকরি এই টিপসগুলো জীবনে অনেক কাজে দেবে।  

মানুষকে আপন করে নেওয়ার কলা কৌশল: 
(১) প্রথম সাক্ষাতেই কুশল বিনিময় করুনঃ এটি একটি সাধারন ভদ্রতা। সারা পৃথিবীর সকল স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী একই হয়। কোনও মানুষের সাথে প্রথম দেখা কিংবা পরিচিতির প্রথম ধাপই হচ্ছে কুশল বিনিময়। আর কুশল বিনিময়ের একদম শুরুতেই নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী  নমস্কার অথবা এরকম কিছু করুন। পুুরুষ হলে তার সাথে হ্যান্ড শেক করুন। আর যদি ধর্মীয় বিশ্বাসকে এড়াতে চান তাহলে গুড মর্নিং বা এরকম কিছু বলুন। তবে চেষ্টা করবেন মৃদু হাসি বিনিময় করে নমস্কার দিতে। এক্ষেত্রে একটি কথা, পরিবেশ বুঝতে হবে। সব পরিবেশে আবার হাসবেন না। যেমন ধরুন কোনও মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গেলেন তখন হাসি বিনিময় করা বোকামি। তাই আশেপাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি খেয়াল করে কুশল বিনিময় করুন।

চোখে চোখ রেখে কথা বলুনঃ মানুষকে আপন করে নিতে এখানেই মানুষ ভুলটা বেশি করে। ধরুন আপনি কারো সঙ্গে কথা বলছেন। তখন সে মোবাইল টিপছে বা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, কেমন লাগবে আপনার? আশাকরি তাতে আপনি ভালো বোধ করবেন না। ঠিক তেমনি যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে, আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনুন। এতে আপনি যে তার কথা মনযোগ সহকারে শুনছেন, সেটা সে পছন্দ করবে।  

ঝুঁকে বসুনঃ মানুষকে আপন করে নেওয়ার এটি একটি অন্যতম কৌশল। যখন বসে অন্য কোনও ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তখন হেলান দেবেন না। অথবা কোনও দিকে কাত হয়ে বসবেন না। একদম সোজা হয়ে একটু তার দিকে ঝুঁকে বসুন। মানে মাথাটা একটু এগিয়ে দিন। তাতে ওই ব্যক্তি মনে করবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে সহজেই আপনাকে সে আপন ভেবে কথা বলবে।  

কথার উত্তর দিনঃ মানুষকে আপন করে নেওয়ার আরেকটি কৌশল হচ্ছে কথা কম বলুন আর শুনুন বেশি। তবে রোবটের মতো কথা শুধু শুনেই যাবেন না। মাঝে মাঝে কথার মাঝখানে হ্যাঁ, হু, ও আচ্ছা, তাই–এরকম কিছু শব্দ ব্যবহার করুন। এর মানে আপনি যে তার সাথে কথাগুলো শেয়ার করছেন সেটা বোঝায়। তবে খেয়াল রাখবেন, হ্যাঁ, হু, ও আচ্ছা, তাই এগুলো যেন প্রতি শব্দের সাথে সাথে না বলেন। তাহলে ব্যাপারটা মেকি হয়ে যাবে। অবস্থা বুঝে কথার উত্তর দেবেন।  

আমি, আমার এই শব্দগুলো পরিহার করুনঃ মানুষকে আপন করে নেওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে এটা। মানুষ মানুষকে অপছন্দ করার সবথেকে বেশি কারন হচ্ছে আমিত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *