আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৮ অক্টোবর: “বিজেপির সঙ্গে ঝামেলা করবেন না। ওরা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করলে আপনারা পিছিয়ে আসবেন। আপনারা সংযত থাকবেন”। যে জেলা সভাপতিকে পুলিশকে বোম মারার নির্দেশ দিতে শুনেছেন বাংলার মানুষ। সেই অনুব্রতর মুখে সংযতর বাণী শুনে অবাক অনেকেই।
বৃহস্পতিবার বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে অন্য অনুব্রত মণ্ডলকে দেখলেন তিনটি অঞ্চলের মানুষ। এদিন নোয়াপাড়া, ভদ্রপুর ১ ও শীতলগ্রাম অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। নোয়াপাড়া অঞ্চলের ৭৪ নম্বর গোকুলপুর বুথ সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলেন, “আমাদের গ্রামে বিজেপি সব সময় পায়ে পা লাগিয়ে ঝামেলা করে”। অনুব্রত বলেন, “ওরা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু আপনারা সংযত থাকবেন”। শীতলগ্রাম অঞ্চলের ৮৮ নম্বর বুথে ৪৭০ ভোটে বিজেপির কাছে হারে তৃণমূল। হারের কারণ হিসেবে বুথ সভাপতি বলেন, “তফশিলি প্রধান ওই গ্রামে ১০০ দিনের কাজ পায় না। কাজের জায়গা নেই”। কথা শেষ না হতেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী বলেন,”ওখানে কাজের জায়গা নেই। খুব শীঘ্রই কাজ দেওয়া হবে”। হাঁসন বিধানসভার ওই তিনটি অঞ্চলে বেশ কিছু বুথে কংগ্রেস ও বিজেপির কাছে পরাজয় হয় তৃণমূলের। ওই বুথগুলিতে হারের ব্যবধান কমানোর নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত বলেন, “লোহাপুরে দ্রুত থানা করা হবে। একই সঙ্গে কীর্ণাহারেও করা হবে”।
বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, “নবান্নের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই স্যানিটাইজ করার জন্য নবান্ন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিজেপির ৪০ জন লোকের জন্য নয়’।