আমাদের ভারত,১ মার্চ:বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কেবলমাত্র কোনও ভূমিপুত্র হবেন কোনও শাহজাদা নয়। কলকাতায় সিএএ সমর্থনে সভা করতে এসে কার্যত ২০২১-এর নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে আজ পষ্ট করে দিলেন আঁটঘাট বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে বিজেপি। আর রাজ্যে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে কোন নয় পশ্চিমবঙ্গের কেউ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের উদ্দেশ্য খোঁচা দিয়ে বলেন কোনও শাহজাদা নয়।
সিএএ সমর্থনে কলকাতায় সভা করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সিএএ পাশ করতে বাংলার মানুষের অবদান আছে। আর সেই জন্যেই বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কেবলমাত্র এখানকার ভূমিপুত্র হবেন।
তবে ভূমিপুত্র বলতে সঠিকভাবে কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি তা স্পষ্ট হয়নি অনেকের কাছেই। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ বিরোধিতা করতে গিয়ে বারবারই বলেছেন “আমার বাবা মায়ের জন্ম তারিখ কবে তা আমি জানি না।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আক্রমণের তীর সম্ভাবত প্রশ্নের জবাব বলেই অনুমান অনেকের।
এদিনের সভায় রাম মন্দির প্রসঙ্গ টেনে এনে শাহ বলেন, শ্রীরামের জন্মস্থানে রাম মন্দির করতে ৫০০ বছর ধরে লড়াই করেছি। মোদীজি এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন। এখন আকাশছোঁয়া মন্দির হবে অযোধ্যায়।
তবে এদিনের সভায় আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের রুখতে পারবেন না। যত অপরাধ করবেন করে নিন। বাংলার মানুষ আপনাকে চিনে গেছে। বাংলার বিকাশের জন্য আমরা লড়াই করছি। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাংলাকে বাঁচাতে আমরা লড়ছি। আপনি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না। আপনি হরিচাঁদ ঠাকুর, পঞ্চানন বর্মা, সর্দার প্যাটেলের বিরুদ্ধাচরণ করছেন।
তিনি বলেন, “মমতা দিদি দেশের আইনের বিরুদ্ধাচরণ করছেন। তবে তিনি যতই বিরোধিতা করুন আমরা সিএএ করবোই।” বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্যামাপ্রসাদের ভূমিকে বারবার প্রণাম। এই মাটি ২০১৪ সালে আমাদের ৮৬ লক্ষ ভোট দিয়েছিল। আর ২০১৯ সালে আমাদের দিয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ ভোট। আমরা আপ্লুত। আপনারা আমাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিন। আমরা বাংলার চিত্র পাল্টে দেব। বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়বে বিজেপি।” এদিনের সভা থেকে তিনি “আর নয় অন্যায়” অভিযানের ডাক দেন। তিনি বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে আমাদের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। আর নয় অন্যায় অভিযানের জন্য একটি মিসকল দেবার নম্বরও চালু করার কথা বলেন তিনি। শাহ বলেন, এই মিসকলই বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দেবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, “সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। দিদিকে আপনারা দশবছর দিয়েছেন। কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমাদের পাঁচ বছর দিন। সোনার বাংলা গড়ে দেব।”