মেজিয়া শিল্পাঞ্চলে সিপিএমের কর্মিসভার পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১ এপ্রিল: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মেজিয়া শিল্পাঞ্চলে সিপিএম আজ এক কর্মিসভার আয়োজন করে। কর্মিসভা উপলক্ষ্যে বিরাট মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে। কর্মিসভার প্রচারে ব্যবহৃত পতাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

শিক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি, কয়লা, বালি, পাথর শিল্পে নিষেধাজ্ঞা, ডিএ না দেওয়া ইত্যাদি সব মিলিয়ে উত্তর বাঁকুড়ার মেজিয়া শিল্পাঞ্চলে একটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভাব দেখা যাচ্ছে। এই সুযোগে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে শনিবার সিপিআই(এম) দলের মেজিয়া এরিয়া কমিটির উদ্যোগে জনগণের পঞ্চায়েত গড়তে আমাদের দায়িত্ব শীর্ষক একটি কর্মিসভার আয়োজন করে। সভার আগে একটি মিছিল মেজিয়া বাজার সহ বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে। মিছিলে হাঁটেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৌমেন্দু মুখার্জি, জেলা সদস্য সুজয় চৌধুরী, মীনা চ্যাটার্জি, মাণিক ঢাং, মেজিয়ার এরিয়া সম্পাদক শেখ ইলিয়াস প্রমুখ।

এরপর একটি বেসরকারি লজে অনুষ্ঠিত হয় কর্মিসভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিয় পাত্র বলেন, শিল্পাঞ্চল এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে বহু কর্মী এই মিছিল ও সভায় অংশগ্রহণ এটাই প্রমাণ করে যে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে ও মানুষের পঞ্চায়েত ফেরাতে তৃণমূলকে হারাতে হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল গত ১২ বছরে যে হারে লুটপাট করেছে তাতে তারা বহু গ্রামে ঢুকতে পারছে না। প্রকাশ্যেই চোর চোর বলে তাড়া করছে। একথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছে গেছে। তা শুনে তিনি তার দলের ভাইয়েদের বলছেন, চোর চোর শুনে ভয় পাবেন না। বুক ফুলিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলুন।

অমিয় পাত্র বলেন, তাহলে মমতা জানেন, সারা রাজ্যে চোর চোর রব উঠে গেছে। তিনি জানেন, তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা চুরি করেছে। তাও কিন্তু একবারও পুলিশকে বলেছেন না, যারা চুরি করেছে তাদের ধরে জেলে ঢোকাও। তার দলের যে কজন হীরে, মাণিক জেলে ঢুকেছে সব কটাই হাইকোর্টের নির্দেশে। একটা চোরও পুলিশ ধরেনি। তিনি বলেন, তৃণমূলকে এতো বিড়ম্বনায় কখনও পড়তে হয়নি, এতো প্রতিবাদের মুখেও পড়তে হয়নি কখনও। তাই তৃণমূল গ্রামে গেলে বলুন, এবার পাততাড়ি গোটাও। ১২ বছরে অনেক খেয়েছো।

অমিয় পাত্র ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শেখ ইলিয়াস, সুজয় চৌধুরী। শেখ ইলিয়াস অভিযোগ করেন, এদিনের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে মেজিয়া বাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাগ, ফেষ্টুন টাঙিয়ে ছিলেন দলের কর্মীরা। রাতের অন্ধকারে
দুষ্কৃতিরা তা খুলে নিয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি কাপুরুষোচিত বলে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের তীর ছোড়েন। সুজয় চৌধুরী বলেন, এদিন থেকে ফের দুয়ারে সরকারের নাটক শুরু করেছে সরকার। মানুষ সব ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটে এসবের জবাবদিহি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *