তপনে সিডিউল না টাঙিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দিঘির বাউন্ডারি নির্মাণের অভিযোগ বাসিন্দাদের, কাটমানির অভিযোগ তুললেন সাংসদ

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৬ ফেব্রুয়ারি: তপনে দিঘি সংস্কারে অতি নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। সদ্য তৈরি করা বাউন্ডারি ওয়াল যে কোনও মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সকলেই। নিম্নমানের কাজ করে শাসক দলের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বালুরঘাটের সাংসদ। বিষয়টি জানা নেই দাবি এলাকার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার।

বাচ্চু হাঁসদা জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলার বাইরে রয়েছেন। দ্রুততার সাথে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।

সম্প্রতি প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন তপন দিঘি নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। রাজ্য মৎস্য দপ্তরের বরাদ্দকৃত প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ৮৩ একর জায়গায় অবস্থিত দিঘি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেদিনীপুরের এক ঠিকাদার সংস্থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি ওই প্রকল্পের কোনও সিডিউল না টাঙ্গিয়েই চলছে কাজ। সরকারি কাজ হলেও দেখা নেই লালবালি বা সরকারি তালিকার অন্তর্গত কোন জিনিসই। বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে অতি নিম্ন মানের ইট ও সাদা বালি। শুধু তাই নয়, দুর্বল সিমেন্টের পাশাপাশি ভঙ্গুর লোহার রড দিয়েও চলছে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ বলে অভিযোগ। সরকারি কাজে লাল বালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও এখানে কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।সাদা বালি ব্যবহার করে কাজের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এক কর্মীও।

স্থানীয় বাসিন্দা রাধেশ্যাম মহন্ত, অপূর্ব সরকাররা জানিয়েছেন, সরকারি কাজের কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না এখানে। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে বাউন্ডারি ওয়াল। যে কোনও মুহুর্তেই ভেঙ্গে পড়তে পারে ওই সীমানা প্রাচীর। টাঙানো হয়নি কোনও সিডিউলও।

কাজের ম্যানেজার তন্ময় মালাকার জানিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা যে সব সামগ্রী পাঠাচ্ছে তা দিয়েই কাজ হচ্ছে। দুর্বল ইট নীচে পাতা হচ্ছে।

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ বর্মন জানিয়েছেন, সরকারি কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী বিক্রি মানে দুর্নীতি করা। এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন।

বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাটমানি খাওয়ার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। যার জবাব এলাকার মানুষ আগামী বিধানসভার ভোটেই দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *