আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৮ মে: কাঁদর সংস্কারের কাজ হচ্ছে নিম্নমানের, এমনই অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বুঙ্কতলা উন্নয়ন সমিতি। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানো হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। যদিও ঠিকাদারের দাবি, শিডিউল মেনেই কাজ হচ্ছে।
বীরভূমের রামপুরহাট শহর সংলগ্ন কুসুম্বা অঞ্চলে রয়েছে বুঙ্কতলা কালী মন্দির।সেখানে রয়েছে একটি প্রাচীন শ্মশান। শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি কাঁদর। মন্দির থেকে কিছুটা দূরেই রামপুরহাট পুরসভা একটি নোংরা ফেলার ভ্যাট করেছে। দীর্ঘদিন কাঁদর সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় ভ্যাটের নোংরা জল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পেয়ে কাঁদর সংস্কারে উদ্যোগী হয় পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। পুরসভার ভ্যাট থেকে ঝনঝনিয়া সাঁকো পর্যন্ত কাঁদর সংস্কারে বরাদ্দ করা হয় এক কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। বুঙ্কতলা উন্নয়ন সমিতির অভিযোগ, কাঁদর সংস্কারের নামে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে।
সমিতির সভাপতি অশোক কারক বলেন, “কাঁদরের যে গভীরতা এবং নিচের অংশ চওড়া হওয়া প্রয়োজন সেটা করা হচ্ছে না। ঢালাইয়ের মান এবং পাথর নিম্নমানের। এভাবে কাজ হলে বর্ষাকালে বুঙ্কতলা শ্মশান জলমগ্ন হয়ে পড়বে। চাষযোগ্য জমি জলে ডুবে যাবে। নিম্নমানের কাজ করা হলে এক বর্ষাতেই কাঁদরের ঢালাই জলের তোড়ে ভেঙ্গে যাবে। ফলে মানুষের করের টাকায় সংস্কার করা কাঁদরের টাকা জলে ভেসে যাবে। বিষয়টি রামপুরহাট মহকুমা শাসক থেকে, চেয়ারম্যান, জেলা শাসক, রাজ্য পুর দফতরে ই- মেলের মাধ্যমে অভিযোগ করেছি।”
রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।”
রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি বর্ধমানে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে তদন্ত করাবে।”
তবে ঠিকাদার খুরসেদ আলম বলেন, “শিডিউল মেনেই কাজ করা হচ্ছে।”