আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২১ জানুয়ারি: ঝাড়গ্রামে অনুষ্ঠিত রাজ্য স্তরের জঙ্গলমহল উৎসবে এবার সৌজন্যতার অভাবের অভিযোগ তুললেন শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। বুধবার জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেমন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কুনার হেমরমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তেমনি ডাকা হয়নি ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপারসন প্রশান্ত রায়কেও। যদিও তারা অনাহুত অতিথির মত দুজনেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দর্শক আসনে চুপচাপ বসেছিলেন। দর্শকদের সঙ্গে সাধারণের আসনে তারা প্রায় চল্লিশ মিনিট বসেছিলেন। সেই সময় মঞ্চে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ছত্রধর মাহাতো, বিরবাহা সরেন সহ তৃণমূলের একগুচ্ছ নেতা-নেত্রী। কুনার হেমরম বলেন, আমি এলাকার সংসদ হলেও আমাকে কোনও মর্যাদা দেয় না এই সরকারের প্রশাসন। অথচ ছত্রধর মাহাতোকে সমাজসেবীর তকমা দিয়ে মঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সৌজন্যতাবোধ হারিয়ে এইসব উৎসবে কোটি কোটি টাকার মোচ্ছব করা হচ্ছে। এইসব না করে শিক্ষামন্ত্রী যদি আদিবাসীদের জন্য তৈরি স্কুলের দুটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে দিতেন তাহলে খুশি হতাম।
অন্যদিকে আমন্ত্রণ না পেয়ে বোমা ফাটিয়েছেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপারসন প্রশান্ত রায়। তিনি ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল সভাপতিও। জঙ্গলমহল উৎসব কমিটি তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনিও দর্শক আসনের একেবারে পিছনে গিয়ে বসেন। পৌরসভা এলাকার মধ্যে উৎসব হচ্ছে অথচ পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানকেই না ডাকায় শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা উৎসব মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
ক্ষুব্ধ প্রশান্ত বাবু বলেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং কেউ মঞ্চেও ডাকেননি। অতিথিদের তালিকায় তার নাম পর্যন্ত রাখা হয়নি ঝাড়গ্রামের সাংসদকে এবং পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই প্রসঙ্গে উৎসবের আয়োজক পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকেরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।