স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: সিল ও প্রধানের সই জাল করে গ্রামগঞ্জে ব্যবসায়ীদের ভুয়ো ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে হাজার হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিত্যরঞ্জন হাজরার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে সরব হয়েছেন প্রতারিত ব্যবসায়ীরা।
প্রতারিত ব্যাবসায়ীরা ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও, রায়গঞ্জ মহকুমাশাসক এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মী নিত্য রঞ্জন হাজরাকে না পাওয়া যাওয়ায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ নং বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিত্যরঞ্জন হাজরা পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুচিত্রা বর্মনের সই জাল করে এবং জাল সিল বানিয়ে স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের মোটা টাকার বিনিময়ে নতুন ট্রেড লাইসেন্স এবং পুরোনো ট্রেড লাইসেন্সের নবীকরন করে দিচ্ছিলেন। ব্যবসায়ীরা যখন ওই ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দিতে যান তখন সেটা জাল ও ভুয়ো ট্রেড লাইসেন্স বলে ধরা পড়ে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও, রায়গঞ্জ মহকুমাশাসক এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনার কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ব্যবসায়ীরা।
শুধু জাল ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়াই নয়, ওই পঞ্চায়েত কর্মী নিত্যরঞ্জন হাজরার বিরুদ্ধে একাধিক বেআইনি কাজের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনসুর আলি। এব্যাপারে বিন্দোল গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হদিশ মেলেনি অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মীর।
ছবি: পঞ্চায়েত প্রধান।
গ্রামপঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। তিনি বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।