চিত্ত মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি: ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম পথিকৃৎ, অমর বিপ্লবী হলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর দেশপ্রেম, আদর্শ, আত্মত্যাগ, আন্তর্জাতিকতাবাদ ও অফুরন্ত জীবনীশক্তি সবার কাছে আজও বিষ্ময়কর। ভারতবর্ষে বিভিন্ন জাতীয় দিবস বিভিন্ন মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্মদিবস বা আত্মবলিদান দিবসকে সামনে রেখে পালিত হলেও মহান বিপ্লবী নেতাজীর জন্মদিবসকে “জাতীয় দিবস” হিসাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাজীর জন্মদিনকে দেশপ্রেম বা দেশপ্রেমিক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি করলেও এখনোও তার স্বীকৃতি মেলেনি। এবার নেতাজীর ১২৫ তম জন্মদিবসের আগে, নেতাজীর জন্মদিনকে “দেশপ্রেম দিবস” হিসেবে ঘোষণার দাবি জানালো অল ইন্ডিয়া মনীষী ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রানাশীষ মাল জানালেন, নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতেই নেতাজীর জন্মদিবসকে দেশপ্রেম দিবস ঘোষণার জন্য তাঁরা দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।
তাঁদের এই দাবির সমর্থনে স্বাক্ষর করেছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস গৌতম কুমার বাগ, মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও জনপ্রিয় গণিত লেখক অধ্যাপক প্রণবেশ জানা, বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিক গবেষক, লেখক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ড: মধুপ দে, অখণ্ড মেদিনীপুরের “নেতাজী ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি (পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম নেতাজী অনুরাগী মঞ্চের)”র যুগ্মসম্পাদক শিক্ষক-লেখক ও সমাজকর্মী অমিত কুমার সাহু, গবেষক ও প্রাবন্ধিক অতনু মিত্র, হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হেলথ কেয়ার সায়েন্সের অধ্যক্ষ বিকাশ প্রতিম মাইতি, সিভিল ডিফেন্সের অবসর প্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার মঞ্জুশ্রী বর্মন, অধ্যাপক নির্মল মাইতি, অধ্যাপক ড: সুশান্ত দে, সমাজকর্মী ছবিলাল পালসহ বহু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি আধিকারিক কর্মচারী, শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, অবসর প্রাপ্ত সামরিক কর্মী, কৃষক ও শ্রমিক নেতৃত্ব, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্লাবসহ বহু পেশার মানুষ জন। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় গ্রামে-গঞ্জে ও শহরের জনবহুল মোড়ে- মোড়ে ভারত মাতার বীর সন্তানদের মূর্তি বসানোর দাবি জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।