আমাদের ভারত, ৮ জানুয়ারি: মুঘল আমলের শেষাংশে প্রায় ৩০০ বছর আগে নির্মিত জামা মসজিদ বৌদ্ধ মন্দির, জৈন মন্দির এবং হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে তৈরি হয়েছিল। এমনটাই দাবি করে আলিগড় দায়রা আদালতে আর্জি জানালেন পন্ডিত কেশব দেওগৌতম নামে তথ্য জানার অধিকার বিষয়ক এক সমাজসেবা কর্মী।
ওই ব্যক্তি আলিগড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ করেন। তার ভিত্তিতে মামলা করেছেন তিনি। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, দায়রা আদালত মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি।
গৌতমবাবু বলেন, “জামা মসজিদের উৎস্য অনুসন্ধানে আমি সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের তথ্য জানতে চাই। ঐতিহাসিক রেকর্ড অনুসারে মসজিদটি তৈরি হয়েছিল অষ্টাদশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে। মসজিদটি রয়েছে প্রাচীন এই শহরের মুসলিম অধ্যুষিত ঘন জনবসতিপূর্ণ উত্তর কোর্ট এলাকায়।
গৌতমবাবুর দাবি, আলিগড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, মসজিদ তৈরি হয়েছিল সরকারি জমিতে, যাতে সরকারি অনুমোদন ছিল না। এই তথ্য তুলে ধরে তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। যাতে আদালত জামা মসজিদ পরিচালন কমিটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। অবিলম্বে সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা এই মসজিদের দখল নেওয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে আর্জি জানান।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে বলেছিল, যতক্ষণ না ধর্মস্থান আইনের বৈধতা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দান হচ্ছে, ততক্ষণ কোনো নিম্ন আদালত কোনো নির্মাণের ধর্মীয় চরিত্র নিরূপণ মামলা গ্রহণ করতে পারবে না। সর্বোচ্চ আদালত সব আদালতকে বলে জাতীয় কোনো মামলায় অন্তর্ভুক্তি বা চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে যেন তারা বিরত থাকে। কোনো ধর্মীয়স্থান নিয়ে বিতর্কে যাতে আদালত সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ না দেয় সে ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। যার পরিপ্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্বলের জামা মসজিদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি করে দেয়।