নিনজা মিসাইলের তলোয়ার খতম করেছে আলকায়দা জঙ্গি নেতা আইমান আল জাওয়াহিরিকে

আমাদের ভারত, ২ আগস্ট: বড়সড় সাফল্য পেয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। সাতসকালে একেবারে নিঁখুত পরিকল্পনা করে খতম করা হল আল কায়দার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকে। মার্কিন ড্রোন হামলায় বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসবাদী খতম হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি নেতা খতম হলেও বাকি কোনো কিছুই ক্ষতি হয়নি এই মিসাইল হামলায়। কিভাবে সেটা সম্ভব হল? কেমন মিসাইল এই নিনজা?

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শেরপুর মার্কেট এলাকায় অবস্থিত একটি অত্যন্ত নিরাপদ বাংলোর বাসিন্দা ছিলেন জাওয়াহিরির। একেবারে নির্দিষ্ট করে পরিকল্পনা করেই আঘাত হানা হয় বিধ্বংসী মিসাইল দিয়ে। আল-জাওয়াহিরিকে খতম করা হয়েছে আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী আর নাইন এক্সহেল ফায়ার নিনজা মিসাইলে। একেবারে হাজার কিলোমিটার দূর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী আয়মান আল জাওয়াহিরিকে পিনপয়েন্ট টার্গেট করে নির্মূল করেছে আমেরিকা। জানা যাচ্ছে, জঙ্গি নেতার কাবুলের বাড়িতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিকাশ করা হয় তাকে। কিন্তু বিস্ফোরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আমেরিকা জানিয়েছে এই আঘাতে অন্য কারোর কোনো লোকসান হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিআইএকে জানিয়েছিলেন, এই অপারেশনটা এমন ভাবে চালানো উচিত যাতে কোনো প্রাণহানি না হয়। সিআইএ ঠিক তাই করেছে। আর তার থেকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে ওই ভয়ঙ্কর নিনজা মিসাইল ব্যবহার করেছে আল-জাওয়াহিরিকে খতম করতে। এই মিসাইলটি একটি ওয়ারহেড হিন মিসাইল। শোনা যায় এতে অনেক গুলো ধারালো ব্লেড রয়েছে। এটি বিস্ফোরণ ছাড়াই তার লক্ষ্যকে ধ্বংস করতে পারে মুহূর্তের মধ্যে। এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর মিসাইল। এটিকে নিনজা বোমা বলা হয়ে থাকে।

ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিকে একেবারে পিনপয়েন্ট টার্গেট করে মারতে এই মিসাইলের জুড়ি মেলা ভার। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় অপ্রতিরোধ্য বৈশিষ্ট্য হল যার ওপর নিক্ষেপ করা হয় তার চেয়ে বেশি কোনো জায়গায় ধ্বংস করে না। এমনকি বিস্ফোরণ হয় না।

এটি একটি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল। একেবারে টার্গেট করে খতমের জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম অ্যাডভান্স হাতিয়ার হিসেবে এটি পরিগণিত। এটিতে ছয়টি পপ আউট ব্লেড লাগানো আছে যার জেরে লক্ষ্য বস্তুর উপর নানা ভাবে আঘাত হেনে খতম করতে সক্ষম মিসাইলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *