আমাদের ভারত, ৪ আগস্ট: মহিলা বন আধিকারিকের সঙ্গে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি যে ভাষায় কথা বলেছেন তা শ্লীলতাহানির সমান। রবিবার এই ইস্যুতে এমনটাই দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে এই ইস্যুতে কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো চুপ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
রবিবার দুপুরে তৃণমূলের তরফে অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত শুনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি একজন মহিলা সরকারি আধিকারীককে মারধর করবেন বলেছেন। এভাবে একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলা যায় নাকি? এটা তো শ্লীলতাহানির সামিল। আমি ওই আধিকারিককে বলব আপনি ভয় পাবেন না মন্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করুন। বিজেপি নৈতিকভাবে আপনার পাশে আছে। দরকারে আমরা আপনাকে আইনি সহযোগিতা করব।
অন্যদিকে তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে রবিবার দুপুরে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমি শুনে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি যে, অখিলবাবুকে পদত্যাগ করতে বলে ফোন করেছেন সুব্রত বক্সি। সুব্রত বক্সি সরকারের কে? তিনি কিভাবে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন? পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এখনো চুপ কেন?
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, “সুব্রত বক্সি কি আদালত? না হলে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্তর সাজা কি হবে সেটা উনি ঠিক করলেন কী করে? কেউ হামলা চালিয়ে যদি ক্ষমা চায় তার ক্ষেত্র তৃণমূল একই কথা বলবে তো?”
প্রসঙ্গত শনিবার তাজপুর সমুদ্র সৈকতে বনদপ্তরের জমিতে জবরদখল সরাতে গিয়ে অখিল গিরির রোষে পড়েছিলেন স্থানীয় বন অধিকারী মণিষা সাউ। তাকে প্রকাশ্যে একাধিক কু-কথা বলতে ও প্রাণনাশের হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে। তারপর থেকেই এই ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। এর আগেও অখিল গিরির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল।