আমাদের ভারত, ১২ সেপ্টেম্বর: ওরা বিচার পেতে আসেনি। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ বিচার পাক। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের একদম শেষে এই কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত জুনিয়ার ডাক্তার বৈঠক করতে নবান্নে গেলেও লাইভ স্ট্রিমিং- এর অনুমতি দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। আর লাইভ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্য সচিব ও ডিজি। এরপর শেষে মাঠে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে পৌঁছানোর পর থেকেই লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে জটিলতা বাড়তে থাকে। নো লাইভ নো ডিসকাশনে অনড় থাকেন আন্দোলনকারী সিনিয়র চিকিৎসকরা। নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু তিলোত্তমার মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সেই কারণে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েও সে কথা জানিয়ে দেন মুখ্য সচিব ও ডিজি। শেষে সাংবাদিক বৈঠকেও একই স্বর শোনা যায় মমতার গলাতেও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ছোটদের ডেকেছিলাম। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা ভেবেছিলাম আজ সমাধান হয়ে যাবে। আজ আমি তাদের ডাকিনি যাদের বিরুদ্ধে ওনাদের ক্ষোভ আছে। কিন্তু নবান্নের দোর গোড়ায় এসেও বসলেন না। এরপর যদি ওরা বসতে চান আমি আমার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিকে বলবো আপনারা বসুন।
এখানেই না থেমে আন্দোলনকারীদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এরপরেও আমরা কোনো অ্যাকশন নেবো না। অনেক ধৈর্য ধরেছি। অনেক সময় ধৈর্য ধরতে হয়। গ্রুপের মধ্যে অনেক কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু গ্রুপের কিছু জন বাইরে থেকে ইনস্ট্রাকশন পাচ্ছিল। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। সাংবাদিক বৈঠকের একদম শেষে মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে গোটা রাজ্য তথা দেশজুড়ে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে।