আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৬ জানুয়ারি: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের গোকুলপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী।
জানা গিয়েছে, নলহাটি ২ নম্বর ন-পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুর অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষা কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। প্রসূতি শিশু নিয়ে ৭০ জন পড়ুয়া রয়েছে ওই শিক্ষা কেন্দ্রে। যেখানে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা সেখানে সোমবার ফের শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই খাবার বাড়িতে নিয়ে যেতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। এরপর অভিভাবকরা খাবার নিয়ে হাজির হন শিক্ষাকেন্দ্রে। কিন্তু শিক্ষা কেন্দ্রে তালা ঝোলানো দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তারা ফোনে বিষয়টি নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিকে জানান। খবর পেয়ে বিডিও গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
নূরানি বিবি, জেন্নেহার বিবি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাবার দিচ্ছে বাচ্চাদের। ওই খাবার খেয়ে বাচ্চাদের শরীর খারাপ করছে। রান্নায় তেল মশলা কিছু দেয় না। খাবারে পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বার বার বলেও সুরাহা হয়নি। তাই আমরা কেন খাবার নিম্নমানের দিচ্ছে তা জানতে কেন্দ্রে এসেছিলাম”।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী লতিকা মার্জিত বলেন, “খাবার খারাপ দেওয়া হয় না। তবে এদিন ডিম দেওয়া হয়নি। কারণ যেখান থেকে ডিম নেওয়া হয় সেখানে গাড়ি ঢোকেনি। অন্য জায়গায় ডিমের বেশি দাম। বারোশো টাকা পেটি। তাই ডিম কিনতে পারিনি। সেকথা অভিভাবকদের জানিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে”।
বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী বলেন, “খাবার নিম্নমানের কিনা বলতে পারব না। তবে এক বস্তা চাল পাওয়া গিয়েছে। সেই চাল দলা পাকিয়ে গিয়েছে। আমি নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। সেই সঙ্গে কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা থাকলে জানাতে বলা হয়েছে”।