ফের রেফার রোগের বলি! দুই হাসপাতাল ফেরানোর পর মেডিক্যাল কলেজেই অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু যুবকের

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৩ জুলাই: ইছাপুরের ঘটনার ৪৮ ঘন্টার পরে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রাজ্যের এতগুলি হাসপাতালে এত ফাঁকা বেড থাকা সত্ত্বেও ফের
দুই হাসপাতালে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সেই মেডিক্যাল কলেজেই ট্রলিতে পড়ে থেকেই মৃত্যু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা অশোক রুইদাসের।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগরের বাসিন্দা অশোক রুইদাস টাইফয়েড জ্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা দক্ষিণ বারাসাতের একটি নার্সিংহোমে ১৪ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে অশোক রুইদাসকে নিয়ে পরিবারের লোকজন এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এসএসকেএমে ফিভার ক্লিনিকে শুধুমাত্র আউটডোর চালু থাকার কারণে চাপ থাকায় রেফার করা হয় শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে।

মৃতের বাবা জানিয়েছেন, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট বলে দেয়, তাঁরা জ্বরের রোগীকে ভর্তি নেবে না। তারাই একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় ওই যুবককে। অভিযোগ, নিয়ে আসা ১০২ নম্বর অ্যাম্বুল্যান্সে কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল না। মেডিক্যালে এমার্জেন্সির বাইরে ট্রলির ওপর পড়ে ছিলেন তিনি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখেই ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু কাগজ তৈরি করতে করতে আরও ১০- ১৫ মিনিট চলে যায়। এদিকে অক্সিজেনের অভাবে একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় অশোক রুইদাসের। তারপর একপ্রকার জোর করেই তার দেহ নিয়ে চলে যান পরিবারের লোকজন। তারা অভিযোগ করেন, যদি এসএসকেএম-ই অক্সিজেন দিতো, তাহলেও আমাদের ছেলেরা বেঁচে যেতে পারত।

প্রসঙ্গত, ৪৮ ঘন্টা আগেই এরকম তিন হাসপাতালে রেফারের চোটে শনিবারই উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের মেধাবী ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ্রজিত চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতির যে কিছুই পরিবর্তন হয়নি, এদিনের ঘটনা যেন সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *