চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৩ মার্চ: কলকাতা শহরের দূষণ নিয়ে যাঁরা চিন্তিত, তাঁদের জন্য সুখবর। প্রথমে জনতা কারফিউ এবং পরে লকডাউনের জেরে কলকাতা শহরে দূষণের মাত্রা কমল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য বলছে, কলকাতার বাতাসে সাধারণত ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে থাকে ১৫০ থেকে ১৭০ মাইক্রোগ্রাম। শীতকালে সেই পরিমাণ বেড়ে হয় ৪৩০ থেকে ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। কিন্তু, জনতা কারফিউয়ের জেরে রবিবার সেই ধূলিকণার পরিমাণ প্রতিঘনমিটারে কমে হয়েছিল ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। আর সোমবার লকডাউনের প্রথমদিনও দূষণের পরিমাণ ছিল আরও কম ৬০ মাইক্রোগ্রামের কাছাকাছি।
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, গতকাল জনতা কারফিউয়ের জেরে শহরের রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। এদিন শহরের ছবিটা ছিল গতদিনের চেয়েও শুনসান। আর তাতেই দূষণ কমেছে বলেই পরিবেশবিদদের দাবি। তবে এতে সন্তুষ্ট হতে নারাজ তাঁরা। পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ রুখতে গেলে বাতাসে ভাসমান ধূলির পরিমাণ হওয়া উচিত প্রতি ঘনমিটারে ২৫ মাইক্রোগ্রাম। এই প্রেক্ষিতে পরিবেশবিদদের আশা, লকডাউনের বাকি দিনগুলোয় শহরে ধূলিকণার মাত্রা অনেকটাই কমবে। এমনকী, প্রতি ঘনমিটারে লক্ষ্যমাত্রা ২৫ মাইক্রোগ্রামের নীচেও ধূলিকণা নেমে যেতে পারে।
শুধু বায়ুদূষণই নয়। জনতা কারফিউ এবং লকডাউনের জেরে গতকাল এবং আজ বাতাসে শব্দদূষণের মাত্রাও ছিল বেশ কম। ব্যস্ততার দিনে শহরে শব্দদূষণের মাত্রা থাকে ৮০ থেকে ৯০ ডেসিমেলের কাছাকাছি। সেখানে জনতা কারফিউয়ের দিন এবং আজ শহরে শব্দদূষণের মাত্রা ৩০ ডেসিমেলের আশপাশে ছিল বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।