আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল: পরপর দুবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরেও নতুন করে সংক্রমণ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েও আবার হাসপাতালে ফিরতে হলো দুই রোগীকে। হ্যাঁ এই ঘটনা ভারতের। এই ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদের।
মারন ভাইরাস করোনাই আক্রান্ত হবার পরেও সুস্থ হয়েছেন অনেকেই। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের মৃত্যুর থেকে সুস্থতার হার কিছু কম নয়। কিন্তু সুস্থ হলেও ভয় কাটছে না। কারণ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে আক্রান্তরা সুস্থ হলেও আবার নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এবার সেই ঘটনা ঘটলো ভারতেও। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। করোনা টেস্টের রিপোর্টে এসেছিল নেগেটিভ। কিন্তু পরপর দুবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর তৃতীয়বার পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় আবার ফিরেছে ভাইরাস। অর্থাৎ রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। এই ঘটনায় দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে নয়ডার হাসপাতালে।
গত শুক্রবার টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আক্রান্তরা নয়ডার গভমেন্ট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি ছিলেন। ২৪ ঘন্টায় তাদের পরপর দুবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় শুক্রবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার আরো একবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর ওই রিপোর্ট আসে। আর তাতেই দেখা যায় তার দেহে রয়েছে ওই মারন ভাইরাসের সংক্রমণ। কিভাবে হল এই নতুন করে সংক্রমণ তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশে এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৩। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ইতিমধ্যেই সরকার গৌতম বুদ্ধ নগর সহ একাধিক জায়গায় সিল করে দিয়েছে। সেগুলিকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এপ্রিল মাস জুড়ে ঐ সমস্ত জায়গায় কোন জমায়েত হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
দেশজুড়ে করনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩০০-র গণ্ডিতে ঢুকে গেছে। গত ৩৪ ঘন্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৫২। তারমধ্যে একটিভ রয়েছে ৮৯৮৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৫৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই সংখ্যা ১৯৮৫। দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫৪। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু।