পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২২
জুন: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার সরকারি ফুলবাজার পরিদর্শনে গত ১৯ জুন এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়া ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার, আহ্বায়ক জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক অতনু গুপ্ত, সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক প্রমুখরা। জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি হর্টিকালচার দপ্তরের সহযোগিতায় অতি সত্বর বন্ধ থাকা পাঁশকুড়া ফুলবাজারের হিমঘরটি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সচিবকে দ্রুত হিসাব জমা দিতে বলেছিলেন। এছাড়াও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে একটি ইনভার্টার পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে বলেন। সাথে সাথে উনি সাত দিনের মধ্যে ২০টি ইমারজেন্সি ল্যাম্প লাগানোর বন্দোবস্ত করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
সেইমত আজ আধিকারিকদের এক প্রতিনিধি দল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে হিমঘর দেখতে আসেন এবং জেলা শাসকের পক্ষ থেকে ফুলবাজার পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য নারায়ণ চন্দ্র নায়কের হাতে ৫টি ইমারজেন্সি ল্যাম্প ও পাঁশকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে ইনভার্টার তুলে দেন উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা আধিকারিক ও তমলুক রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির চেয়ারম্যান। উপস্থিত ছিলেন উদ্যানপালন দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা তিথি দত্ত। এছাড়াও নীলাম কেন্দ্র থেকে উভয় দিকের পিচ রাস্তা পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা, বাজারের জঞ্জাল পরিষ্কার, একটি মহিলা শৌচাগার সহ বর্তমান পুরুষ শৌচাগারটির সংস্কার সরকারিভাবে করে দেওয়া হবে বলে জেলা শাসক কথা দেন। পাশাপাশি লকডাউনের সময় হিমঘরে মেশিনের যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ার সাথে যুক্ত চোরেদের অবিলম্বে ধরতে পাঁশকুড়া থানার আধিকারিককে জেলা শাসক সেদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ২০০১ সালে জেলার ফুলচাষিদের আন্দোলনের ফলে তৎকালীন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাজারটি চালুর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৪ সালে সেই সময়কার বিভাগীয় মন্ত্রী শৈলেন সরকার বাজারটির উদ্বোধন করেন। এর কয়েক বছর পর বাজারটি নানা কারণে কার্যত বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন হলে ২০১২ সালে ফের বাজারটি নবরূপে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। হিমঘর চালু হয়। ইতিমধ্যে লকডাউনের সময়ে হিমঘরের বাইরের দিকের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেলে হিমঘরটি বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে হিমঘর চালু সহ বাজারটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালুর দাবিতে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী, বিভাগীয় দপ্তরের মন্ত্রী, আধিকারিকদের কাছে দরবার করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা শাসকের ঝটিকা সফর ও উপরোক্ত প্রশাসনিক নির্দেশ বলে জানা গেছে। স্বভাবতই জেলা শাসক ও হর্টিকালচার দপ্তরের ভূমিকায় পাঁশকুড়ার ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ীরা খুশি।