সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২২ নভেম্বর: গ্রামাঞ্চলে সরকারি বাড়ি তৈরিতে কাটমনি রুখতে এবার নজর রাখবে প্রশাসন। কাটমানি চাইতে গেলে কড়া হাতে আইনি ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় বিডিও। একই সঙ্গে মিথ্যে অভিযোগকারির বিরুদ্ধেও প্রমাণ সাপেক্ষে একইভাবে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে জেলা জুড়ে সচেতনতা প্রচারমূলক একটি ট্যাবলোর যাত্রার সূচনা করে এই ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন পুরুলিয়া জেলাপরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচিত এবং এক শ্রেণির দালালদের বিরুদ্ধে এই প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। এই অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধেই উঠছিল। তাই জনগণের কাছে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বার্তা দিতেই এই হুঁশিয়ারি সভাধিপতির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বরিষ্ঠ সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, “জেলায় সুবিধা প্রাপকরা যাতে নিশ্চিতভাবে বাড়ি সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারেন সেই লক্ষ্যে নজরদারি করবে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। আমাদের লক্ষ্য এই প্রকল্পে ১০০ শতাংশ রূপয়িত হোক।” শুক্রবার দুপুরে জেলাশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে এই নিয়ে বিশেষ ট্যাবলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার এবং জেলা সভাপধিপতি সুজয় ব্যানার্জি।
গত তিনটি আর্থিক বছরে পুরুলিয়া জেলায় ২৯ হাজার ৫১৮ টি বাড়ি নির্মাণ করা হলেও ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের ৫০ হাজার ২২২ টি বাড়ি তৈরী করার লক্ষ্য মাত্রায় জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।বাড়ি তৈরীর জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তিনটি পর্যায়ে সরাসরি সুবিধা প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে।গত কয়েক দিনে আবাস যোজনা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় এবার বিশেষ নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বাড়ি নির্মাণের উপভোক্তারা প্রথম কিস্তির টাকা ঠিকঠাক পেয়েছেন কিনা, বাড়ি তৈরী হচ্ছে কিনা সব বিষয়েই নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন। জেলার ২০ টি ব্লকেই উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা পরিদর্শনে যাবেন সরাসরি উপভোক্তাদের বাড়িতে। পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তারা নিজের শ্রমের মাধ্যমে সরকার দ্বারা বরাদ্দ অর্থে নিজের বাড়ি নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন।