পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৫ অক্টোবর: কোলাঘাট, পাঁশকুড়া ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার জমা জল বের করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আজ সকালে সোয়াদিঘি থেকে রামতারক হয়ে নারায়ণ পাকুড়িয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সোয়াদিঘি খাল পরিদর্শন করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিদর্শনের দলে অতিরিক্ত জেলা শাসক ছাড়াও ছিলেন মহকুমা শাসক(তমলুক) দিব্যেন্দু মজুমদার, সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকার সহ কোলাঘাট-পাঁশকুড়া- শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকগুলির বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। অতিরিক্ত জেলা শাসক কোথাও নৌকায় চেপে, কোথাও পায়ে হেঁটে, কোথাও বা টোটোতে চেপে সোয়াদিঘি থেকে রামতারক হয়ে নারায়ণ পাকুড়িয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ খাল পরিদর্শন করেন।
আন্দোলনকারী সংগঠন সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে মধুসূদন বেরা ও নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, চলতি বর্ষায় তমলুক মহকুমার কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের প্রায় শতাধিক মৌজা মাসাধিক কাল ধরে জলবন্দি হয়ে রয়েছে। কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পাঁশকুড়ার বন্যার জল এই খাল দিয়েই রূপনারায়ণে বের হচ্ছে। ওই এলাকার অনেক গ্রামের রাস্তাগুলি আজো জলের তলায়। দীর্ঘদিন ওই জল জমে থাকায় আগাছা পচে ওই জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকায় সাপের উপদ্রব বাড়ছে। বর্ষার পরই সংস্কারের বিষয়ে সেচ দপ্তর উদ্যোগী না হলে এলাকার ভুক্তভোগীরা আন্দোলনের নামতে বাধ্য হবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলবন্দি এলাকার জল বের করার দাবিতে উপরোক্ত সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে ৩ অক্টোবর জেলা সেচ ও প্রশাসনিক দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর ৭ অক্টোবর জেলাশাসক খালের নোনাকুড়ি থেকে রামতারক পর্যন্ত অংশটি পরিদর্শন করেন, এবং সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেন ওই অংশে জেসিবি মেশিন নামিয়ে নিকাশিতে বাধা সৃষ্টিকারী অংশগুলিতে জমে থাকা মাটি তুলে আবর্জনা পরিষ্কার করার। সেই মত গতকাল জেলা শাসক দপ্তরে পর্যালোচনা মিটিং হয়। ওই মিটিং- এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্ষার পরই পূর্ণাঙ্গ খাল সংস্কারের বিষয় নিয়ে আজকের এই সরজেমিন পরিদর্শন বলে জানাগেছে।