আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৫ মার্চ: ‘নাটু নাটু’র অস্কার জয়ে অসন্তোষ জানিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।
‘নাটু নাটু’র অস্কার জয়ের আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রয়োজনা সংস্থার আওতায় তৈরি ছবি অস্কারের মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছে, নিঃসন্দেহে এটা বড় পাওয়া গোটা দেশের। এর মাঝেই এই তেলুগু গানকে নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বসলেন অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।
ফেসবুকের দেওয়ালে সোমবার গভীর রাতে ‘আবহমান’ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি বুঝি না, ‘নাটু নাটু’ নিয়ে কি সত্যি গর্ববোধ করতেই হবে? আমরা কোথায় যাচ্ছি? সবাই চুপ করে আছেন কেন? আমাদের সংগ্রহশালায় এটাই কি একমাত্র সেরা? ক্ষোভ জাগে।’ এক কথায় ‘নাটু নাটু’র শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অনন্যা। অভিনেত্রীর এই বয়ানে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অধিকাংশেই বিরোধিতার সুর। বুধবার বেলা দুটো পর্যন্ত ১৩৫টি মন্তব্য এসেছে।
ডঃ স্বর্ণাভ গায়েন লিখেছেন, “এসব ‘ক্ষোভ আক্ষেপ’ আসলে কিছুই নয়, একটু খবরে আসার চেষ্টা মাত্র। না হলে কেউ তো খোঁজ নিচ্ছে না। এভাবে যদি একটু প্রচার পাওয়া যায়।” তমাল বসু লিখেছেন, “একদম তাই। দুর্নীতি নিয়ে চুপ কিন্তু কোনও ভাল কাজ হলে মুখ খুলে যায় এদের।” জয়িতা সোম লিখেছেন, “আমি তো চিনি না একে!”
অনুরাগ সরকার চক্রবর্তী লিখেছেন, “আমি অনন্যা চ্যাটার্জির খুব বড় ফ্যান। সুবর্ণলতা, আবহমাণে ওনার কাজ খুব সুন্দর লেগেছিলো। কিন্তু এটা সহমত হতে পারলাম না। গানটা অস্কার পেয়েছে, গুগুল করে দেখে নেওয়া ভালো যে কেন পেয়েছে। পুরো লেখাটা আছে।”
শৌভিক দাস লিখেছেন, “উনি এমন কিছু বড় হনু নন যে উনি খুশি হলেন কী না হলেন তাতে কারোর কিছু যায় আসে।” পৃত্থী রাজ লিখেছেন, “খারাপ কি! ওই রকম অত স্পিডে নেচে দেখাক তো তাও এক সাথে স্টেপ দিয়ে। বিশ্বসুন্দরী শুধু দেখতে সুন্দর থেকেই হয় না। গুনের বিচারেও দেখা হয়।” শুভ্রা সাহা লিখেছেন, “এ আবার কে প্রথম নাম শুনলাম।”
অনন্যার সমর্থনেও আছে কিছু মন্তব্য।বিশ্বজিৎ দাস রায় লিখেছেন, “নাটু নাটু তো বটেই, সম্পূর্ণ আরআরআর সিনেমাটাই বিশ্বঝুল ছবি। অ্যাকাডেমী অ্যাওয়ার্ডের মান বাংলার সাহিত্য একাডেমীর সম পর্যায়ে চলে এসেছে। প্রবীর কুমার সাহা লিখেছেন, “একদম সহমত। কথা এবং সুর দুটোই কষ্টদায়ক।” মৈনাক বিশ্বাস লিখেছেন, “যাঁরা অনন্যাকে বলছেন ইনি কে বা ইনার মতামতের গুরুত্ব কী, তারা বলুন তো, ‘দি এলিফেন্ট হুইসপারারস’ যে ছবিটি অস্কার পেল, তাদের কয়জন চিনতেন? আমি তো চিনতাম না, তামিলনাড়ুর কয়জন চিনতেন সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। তাঁরা তামিল ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ নয়! বাংলার বাইরে সত্যজিত রায়কে অনেক শিক্ষিত লোকজন চেনেন না, তাই চেনার প্রয়োজন খুব একটা আছে কি? যদি চিনতেন, তাহলে এবার বলুন ‘নাটু নাটু’র মত গান, গায়ক, গীতিকার, কথাকার কি ভারতবর্ষে কখন ও জন্মায়নি, ভাড়ার কি সত্যিই শূূন্য?“